পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ঘিরে কি চান বগুড়াবাসী?


ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
ক্রীড়াঙ্গনের কর্তা হয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর আসনে স্বয়ং বিসিবি’র সভাপতি। এবার নিশ্চয়ই খুলবে শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ঘিরে জটিলতার সকল জট। দেশ সেরা উইকেটে গড়াবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এমন আশাতেই চাতক প্রতীক্ষায় বগুড়াবাসী।
আজকের মুশফিক, তামিম, সুহাশ, হৃদয়দের খেলোয়াড় হয়ে ওঠার গল্পটা এখান থেকেই। তাইতো দেশ সেরা ক্রিকেটারদের আতুড়ঘর হিসেবেই পরিচিত বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রিকেটারদের প্রশংসায় বারবার জায়গা করে নিয়েছে শহীদ চান্দু’র উইকেট, গ্রাউন্ডস্।

বছরের শুরু থেকে চলমান মাসব্যাপী শেখ কামাল অনুর্দ্ধ-১৮ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলতে এসে উদীয়মান তরুণরাও শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের প্রেমে পড়েছেন।

তরুণরা বলেন, ‘এ স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ খেলেছি। এ মাঠটি খুবই ভালো। বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম সেরা উইকেট এ স্টেডিয়ামে। পেস সহায়ক উইকেট এটি। প্রতিটি স্টেয়াম বগুড়ার মতো ভালো হলে খেলোয়াড়দের জন্য ভালো হবে।’

এতো কিছু থেকেও যেন না থাকার মতোই। ‘আছে গরু না বয় হাল, তার দু:খ সর্বকাল’ গ্রামীণ এই প্রবাদটি যেন অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হয়ে ধরা দেয় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের প্রশ্নে।

সেই ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ভেন্যুর মর্যাদা পায় স্টেডিয়ামটি। পরের মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে হয় আন্তর্জাতিক অভিষেক। সবমিলিয়ে ৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের চারটিতে জয় পায় টাইগাররা। কিন্তু সবশেষ ২০০৬ সালের ৫ ডিসেম্বরের পর বগুড়ার ২২ গজে নামেনি আর কোনো জাতীয় দল।

তারপর গত বছরের মার্চে বগুড়াবাসীর বুকে আঘাত দিয়ে আন্তর্জাতিক ভেন্যুই বাতিল করে নিষ্ঠুর বিসিবি। তোপের মুখে পরের মাসেই আবার ভেন্যু পূণর্বহালের ঘোষণা আসে বিসিবি থেকে। সাথে বলা হয় নিজস্ব অর্থায়নে আরেকটি ক্রিকেট গ্রাউন্ড আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে উদ্যোগ নেবে ক্রিকেট বোর্ড।

বগুড়াবাসীর প্রত্যাশা, নতুন এমপি-মন্ত্রীরা বগুড়ার ক্রীড়াঙ্গনের হতাশা দুর করবেন। অতিসত্তর বিমানবন্দরের কাজ শেষ করে আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় তারা। আন্তর্জাতিক ম্যাচ না হলেও বিপিএলের খেলা যেন এখানে হয় সে দাবি বগুড়াবাসীর।

গত বছর আন্তর্জাতিক ভেন্যু বাতিলের পর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপুর অগ্রনী ভূমিকা মনে রেখেছে বগুড়ার ক্রীড়াঙ্গন। জেলা প্রশাসক জানালেন- এখনও কান পেতে আছেন শহীদ চান্দুর মন ভালো করা খবরের আশায়।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এখন নতুন সরকারে নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী এসেছেন। তার মাধ্যমেই আমরা ভেন্যুটা ফিরে পেয়েছি সাথে নতুন একটি স্টেডিয়াম করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতি পেয়েছি।’

এই মাঠে অনুশীলনের পরই অনুর্দ্ধ-১৯ বিশ্বকাপ জয় করে আকবর বাহিনী।

২০০৩-০৪ অর্থবছরে ফ্লাড-লাইট স্থাপনসহ ২১ কোটি টাকা খরচ করে বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যুতে উন্নীত করা হয়। ২০০৭ সালের পর আর জ্বলেনি সেই ফ্লাড লাইট।

তথ্যসূত্রঃএখন টিভি অনলাইন

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ