পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

পেঁয়াজের বিকল্প হতে পারে ‘চিভ’

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক: দেশের বাজারে পেঁয়াজের লাগামহীন দামে যখন নাভিশ্বাস ভোক্তাদের, তখন পেঁয়াজের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন চিভ। পাতা জাতীয় এই মসলার স্বাদ অনেকটাই পেঁয়াজ ও রসুনের মতো।
পেঁয়াজ রান্নার অন্যতম উপকরণ হলেও অপরিহার্য নয়। তবে যারা পাতে পেঁয়াজ চানই চান, সেক্ষেত্রে বিকল্প হতে পারে পাতা জাতীয় মসলা চিভ। সাইবেরিয়া-মঙ্গোলিয়া-নর্থ চায়না অঞ্চলের মসলা এটি। দেখতে অনেকটা পেঁয়াজ পাতার মতো। রেস্তোরাঁর স্যুপ, সালাদ ও তরকারিতে ব্যাপকহারে ব্যবহার রয়েছে চিভের। যার স্বাদ ও গন্ধ অনেকটা পেঁয়াজ ও রসুনের মতো।

পেঁয়াজের মতোই চিভ রপ্তানিতে গেল বছর শীর্ষে ছিলো ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডস। ২৬৮ মিলিয়ন ডলার চিভ রপ্তানি করেছে দেশটি। আর, ৩৮৬ মিলিয়ন ডলার চিভ কিনে মসলাটি আমদানিতে শীর্ষে ছিল এশিয়ার দেশ জাপান।

চিভ পাতার আকার লম্বাটে, যার কাণ্ড ও ফুল মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। হজমে সাহায্য করে চিভ। রয়েছে বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা। আছে ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণাগুণ। পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, নায়াসিন, ক্যারোটিন ও খনিজ উপাদান।

কৃষি বিজ্ঞানীরা বলছেন, খুবই সহজে এবং তুলনামূলক কম খরচে চাষাবাদ করা যায় চিভ। চারা লাগানোর ৬৫-৭০ দিনের মধ্যে পাওয়া যায় ফলন। একবার পাতা ও কাণ্ড কেটে নেয়ার পর বছরে ৫/৬ বার সংগ্রহ করা যায় ফসল। কৃষি বিভাগের তথ্য সার্ভিস বলছে, পাবনা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মেহেরপুর, রাজশাহীসহ যেসব এলাকায় পেঁয়াজের ফলন বেশি হয় সেখানে চিভের ফলনও বেশি হবে।

দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটানোর লক্ষ্যে কৃষিবিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় ২০১৭ সালে বারি চিভ-১ নামের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করে বিতরণ শুরু করে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। কৃষি বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাংলাদেশের মাটি, জলবায়ু ও আবহাওয়া চিভ চাষের জন্য বেশ অনুকূল। বছরব্যাপী চাষ করা যায় বলে চিভ পেঁয়াজ ও রসুনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে সহায়ক হবে।

তথ্যসূত্রঃএখন টিভি অনলাইন

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ