পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
বুধবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪

বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পেলেন ২৮ জন কর্মকর্তা ও দুই প্রতিষ্ঠান

ছয়দফা নিউজ ডেস্ক:
প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা ও জনসেবায় অনন্য কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ১২টি ক্ষেত্রে ২৮ জন কর্মকর্তাকে (ব্যক্তি ও দলীয় শ্রেণি) এবং দুই প্রতিষ্ঠানকে (প্রাতিষ্ঠানিক শ্রেণি) বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

এবার ‘অপরাধ প্রতিরোধ’ শ্রেণিতে র‌্যাব-১১-এর জঙ্গি সেলের সাবেক ইন্টেলিজেন্স অফিসার ও কমান্ডার (বর্তমানে ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার) মির্জা সালাহ উদ্দিন, ‘জনসেবায় উদ্ভাবন’ শ্রেণিতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ইউএনও সোহাগ চন্দ্র সাহা এবং ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ শ্রেণিতে নওগাঁর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাজমুল হককে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হয়।

‘দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলা’ শ্রেণিতে ব্যক্তিগতভাবে পদক পেয়েছেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান। ‘সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ শ্রেণিতে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদি উর রহিম জাদিদকে এই পদক দেওয়া হয়েছে।

‘সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা’ শ্রেণিতে দলগতভাবে এই পদক পেয়েছেন লক্ষ্মীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব) মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন আহম্মদ কবীর, লক্ষ্মীপুরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও বর্তমানে বিসিএস প্রশাসন অ্যাকাডেমির উপপরিচালক নূর-এ-আলম, সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন (বর্তমানে বিএসটিআইর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) এবং রায়পুর উপজেলার ইউএনও অনজন দাশ।

‘উন্নয়ন প্রশাসন’ শ্রেণিতে খাগড়াছড়ির সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব) প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, খাগড়াছড়ির সাবেক এডিসি (বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব) কেএম ইয়াসির আরাফাত, খাগড়াছড়ি জেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (বর্তমানে মাগুরার মহম্মদপুরের সহকারী কমিশনার-ভূমি) বাসুদেব কুমার মালো ও খাগড়াছড়ির সাবেক সহকারী কমিশনার (মাগুরা জেলার সহকারী কমিশনার) শেখ নওশাদ হাসান পদক পেয়েছেন।

‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ শ্রেণিতে শরীয়তপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার) মো. পারভেজ হাসান, শরীয়তপুরের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সাবেক উপপরিচালক (বর্তমানে অধিদপ্তরের উপপরিচালক) মো. মতলুবর রহমান, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ইউএনও কামরুল হাসান সোহেল এবং জাজিরা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেনকে এই পদক দেওয়া হয়।

‘পরিবেশ উন্নয়ন’ শ্রেণিতে হবিগঞ্জের সাবেক ডিসি (বর্তমানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব) ইশরাত জাহান, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী) মো. শাহানেওয়াজ তালুকদার, হবিগঞ্জের সহকারী কমিশনার নাভিদ সারওয়ার ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার দত্ত এবার পদক পান।

‘মানবসম্পদ উন্নয়ন’ শ্রেণিতে গাইবান্ধার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উপপরিচালক মো. আবদুস সবুর, গাইবান্ধা সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. তাহাজুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জের উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল কামাল আজাদ, গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক ও পলাশবাড়ী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পেয়েছেন।

এবার ‘নীতি ও প্রশাসনিক পদ্ধতির সংস্কার’ শ্রেণিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং ‘গবেষণা ও মানবকল্যাণে এর ব্যবহার’ শ্রেণিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পদক পেয়েছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা, মননশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রয়াসকে উৎসাহিত করতে ২০১৬ সাল থেকে জনপ্রশাসন পদক দেওয়া শুরু করে সরকার। গত বছর থেকে এই পদকের নাম বদলে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক করা হয়।

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ