পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৪

এশিয়া কাপ: ভারত নাকি শ্রীলঙ্কা, শিরোপা কার?

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
বহুজাতিক টুর্নামেন্টে ভারতের শিরোপাখরা দীর্ঘদিনের। গত পাঁচ বছরে শিরোপা ঘরে তোলা তো দূরে, কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালেই খেলতে পারেনি। সেই ভারত আজ খেলবে এশিয়া কাপের ফাইনালে। সবশেষ ভারত ফাইনাল খেলেছিল ২০১৮ সালে। সেটাও এশিয়া কাপের মঞ্চে। সেবার বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল।

আবারও ভারতের সামনে এশিয়া কাপ শিরোপা ঘরে তোলার হাতছানি। এই পথে তাদের সামনে বাধা শ্রীলঙ্কা। যাদের দখলে কি না সবচেয়ে বেশিবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার রেকর্ড। ১২ বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলতে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে স্বস্তি নেই ভারত শিবিরে। বাংলাদেশের কাছে হেরে সুপার ফোরের মিশন শেষ হয়েছে রোহিত শর্মার দলের। আজ ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা শ্রীলঙ্কার। আয়োজক না হয়েও নিজভূমে খেলা শ্রীলঙ্কানদের জন্য থাকবে মাঠভর্তি সমর্থন। এ ছাড়া তাদের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা হবে শেষবার দুই দলের লড়াইয়ে ভারতকে ভোগানোর আত্মবিশ্বাস। শেষবারের দেখায় শ্রীলঙ্কা ম্যাচ না জিতলেও নিয়েছে ভারতের বড় পরীক্ষা।

ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে লঙ্কা শিবিরে থাকবে সেই আত্মবিশ্বাস। এ ছাড়া বাড়তি আত্মবিশ্বাস হিসেবে থাকবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নের তকমা। যদিও ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপের শেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারত। শ্রীলঙ্কা শেষবার যখন এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তোলে সেবার টুর্নামেন্টটি হয়েছিল টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। তাই এক রকম বলা যায় ফাইনালের লড়াইয়ে আজ মাঠে দুই ‘চ্যাম্পিয়ন’।

ফাইনালে নামার আগে ভারত শিবিরে যুক্ত হয়েছে ইনজুরি সমস্যা। আগে থেকে চোটে থাকা শ্রেয়াস আইয়ারের মতো ইনজুরিতে পড়েছেন অক্ষর প্যাটেল। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন। তার বদলি হিসেবে ওয়াশিংটন সুন্দরকে দলে ডেকেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। শ্রেয়াস আইয়ারের ইনজুরিতে একাদশে নিয়মিত হয়েছেন লোকেশ রাহুল। ফলে শ্রেয়াসের ইনজুরি ভারতের কপালে বাড়ায়নি চিন্তার ভাঁজ।

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা শিবিরে বোলিংয়ের মূল অস্ত্র মহেশ থিকশানাকে পাওয়া যাবে না। ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন তিনি। আগে থেকেই ইনজুরি সমস্যায় জর্জরিত ছিল লঙ্কানরা। লেগস্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার পাশাপাশি ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপের দলে নেই দুশমন্থ চামিরা, লাহিরু কুমারা ও দিলশান মাদুশাঙ্কা। ফলে দুর্বল বোলিং লাইনআপ নিয়ে খেলছে শ্রীলঙ্কা। অবশ্য টুর্নামেন্টজুড়ে সেই অভাব মোটেও বোধ করেনি ‘স্বাগতিক’ লঙ্কানরা। দ্বিতীয়সারির বোলিং লাইনআপ নিয়েও ছড়ি ঘুরিয়েছে প্রতিপক্ষের ওপর।

মহেশ থিকশানা ছিটকে যাওয়ায় লঙ্কানদের বোলিংআপ কতটুকু চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে, সেই প্রশ্নই জাগছে এখন। ঘরের মাঠ হওয়ায় বোধহয় আত্মবিশ্বাসটা একটু বেশি পাবে শ্রীলঙ্কা। তাদের দুর্বল বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে ভারতীয় ব্যাটাররা রান পাহাড়ে চড়তে পারেন কি না সেটাও দেখার। আগের দফায় লঙ্কান স্পিনবিষে একরকম নাকাল হয়েছিলেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলি। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতীয়রা ব্যাট হাতে ছড়ি ঘুরিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিতে পারেন কি না সেটাও এখন দেখার বিষয়।

শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের পাশাপাশি বোলিংয়েও দারুণ কার্যকর ভারতীয় বোলাররা। ফলে ব্যাটে-বলে সমান শক্তিসামর্থ্য নিয়ে মাঠে নামবে ভারত। অন্যদিকে ব্যাটিংয়ে পূর্ণশক্তি পেলেও বোলিংয়ে নিজেদের দুর্বলতা নিয়ে মাঠে নামতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। তবে ফাইনাল বলেই বোধহয় লড়াইটা হবে সমানতালে। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এক ফাইনালের অপেক্ষায় তো পুরো ক্রিকেট দুনিয়া।

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ