ছয়দফা নিউজ ডেস্ক:
২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যবহারকারীদের বায়োমেট্রিক ডাটা (যেমন- মুখের ছবি বা আঙ্গুলের ছাপ) সংগ্রহ করবে এক্স (সাবেক টুইটার)।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান ‘এক্স’ তার গোপনীয়তা নীতিতে পরিবর্তন এনেছে জানিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্লুমবার্গ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সবার অগোচরেই এক্স-এর গোপনীয়তা নীতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে- এক্স গ্রাহকের সম্মতি নিয়েই এই তথ্য সংগ্রহ করবে। এক্স এর হালনাগাদকৃত গোপনীয়তা নীতিতে আরও বলা হয়েছে, কর্মসংস্থান এবং শিক্ষাগত ইতিহাসও সংগ্রহ করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি৷
নতুন গোপনীয়তা নীতিতে জানানো হয়েছে, ‘আপনার সম্মতির ভিত্তিতে নিরাপত্তা এবং শনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে এক্স আপনার বায়োমেট্রিক ডাটা সংগ্রহ ও ব্যবহার করতে পারে’।
তবে এই বায়োমেট্রিক ডাটা শুধু এক্স-প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য। প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীরা চাইলে সরকারি পরিচয়পত্র এবং সেলফি আপলোড করতে পারবেন। এখান থেকেই ব্যবহারকারীর বায়োমেট্রিক ডাটা সংগ্রহ করে মিলিয়ে দেখবে এক্স।
নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এক্স ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য যেমন- কর্মসংস্থানের ইতিহাস, শিক্ষাগত ইতিহাস, কর্মদক্ষতা এবং কর্মক্ষমতা, চাকরির অনুসন্ধান কার্যকলাপ ইত্যাদি বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ এবং ব্যবহার করতে পারে। ব্যবহারকারীকে সম্ভাব্য চাকরির বিজ্ঞাপন দেখাতে কিংবা নিয়োগকর্তারা যাতে সহজেই পছন্দমত প্রার্থী খুঁজে পেতে পারেন এই প্ল্যাটফর্ম থেকে, সে জন্যই এসব তথ্য সংগ্রহ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বায়োমেট্রিক ডাটা প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের অ্যাকাউন্টে বাড়তি নিরাপত্তা স্তর যোগ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এছাড়া ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুঁজে বের করতে ও প্ল্যাটফর্মটিকে আরও সুরক্ষিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে এক্স।
প্রসঙ্গত, ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই যুক্তরাজ্যের ইলিনয়ের বাসিন্দাদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং ব্যবহার করার অভিযোগে এক্স-এর বিরুদ্ধে চলতি বছরের আগস্টে মামলা হয়। মামলার মূল অভিযোগ ছিল- এক্স তথ্য সংগ্রহের আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যথাযথভাবে জানায়নি বা সম্মতি নেয়নি।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের এই যুগে এক্স ব্যবহারকারীদের বায়োমেট্রিক ডাটা সংগ্রহ, গ্রাহকদের জন্য আদৌ নিরাপদ হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে অনেকের।