ছয়দফা নিউজ ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমাদেরকে কেউ হারাতে পারবে না।
তিনি বলেন, বিএনপির এখন আর দাবি নেই। তাদের দাবি একটা প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। কি কারণে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে?
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাণিজ্য মেলা মাঠে সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে বাণিজ্য মেলা মাঠে এসে উপস্থিত হন। পরে এ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফলক উন্মোচন করেন। সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে মানুষ আর মানুষ। এটা হয়ে গেছে জনতার মহাসমুদ্র। ছাত্রসমাবেশ দেখে অন্তজ্বালায় জ্বলছে। কি দেখেছেন ফখরুল সাহেব। আরো কত কি দেখবে। তোমরা কি দিয়েছো ঘোরার ডিম। ১০০ সেতু উদ্বোধন হয়েছে। আরো ১৫০ সেতু উদ্বোধন হবে। বিএনপি নেতারা কোথায় আছো, বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখে। এরা কাপুরুষ। তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে ছিল। সে নাকি বাংলাদেশের নেতা। এই লুটপাটকারীকে মানুষ মানে। তোমাদের প্রধানমন্ত্রী কে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। খেলা হবে। সামনে ফাইনাল খেলা। ওদের হাতে শোকের পতাকা। আমাদের হাতে স্বাধীনতার বিজয়ের পতাকা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলতে হবে।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আর ভিসানীতি নাকি এসে গেছে। তারা আনন্দে ছিল। এই নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি আসবে। নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। জিম্বাবুয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলো। পরে ব্যালট পেপার পাওয়া যাচ্ছিল না। আমার ওই নির্বাচন করবো না। খেলা তো হবেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের দেশের বাইরে ছিলেন বলে আজকে আমরা পেয়েছি। গত ৪৮ বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা অর্থনীতি মুক্তি দিয়েছেন। এই জনপদ থেকেই কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। শেখ হাসিনার সংকটে শেখ রেহানা পাশে আছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এই এ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট মাত্র ১০ মিনিটে আসা যাবে। মেট্রোরেল আসতেছে। কর্নফুলি টানেল, রূপ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আরো আছে পায়রা।