পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

ভেড়া পালনে জীবন চলে জব্বার মিয়ার

রোদ, বৃষ্টি মাথার উপর দিয়ে ছুটে চলছেন ফসলি জমির আইল কিংবা রাস্তার দু'পাশ্বে গজিয়ে ওঠা ঘাস খাওয়ানো উদ্দেশে একদল ভেড়া নিয়ে। এই ভেড়া লালন পালন করেই পেট চলে জব্বারের।

রিফাতুন্নবী রিফাত:
গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার মিয়া। বয়স ৮৩ ছুই ছুই। এ বয়সে তার থাকার কথা বিশ্রামে। কিন্তু বিশ্রাম নেওয়া মতো সুযোগ নেই তার। কারণ কাজ না করলে পেট চলবে কেমনে। তাই এই ভ্যাপসা গরম, রোদ, বৃষ্টি মাথার উপর দিয়ে ছুটে চলছেন ফসলি জমির আইল কিংবা রাস্তার দু’পাশ্বে গজিয়ে ওঠা ঘাস খাওয়ানো উদ্দেশে একদল ভেড়া নিয়ে। এই ভেড়া লালন পালন করেই পেট চলে জব্বারের।

আব্দুল জব্বার মিয়া ভেড়া লালন পালন করেন দীর্ঘ ২যুগের ও বেশি সময় ধরে। তার খামারে ছোট-বড় সব মিলিয়ে ১০টি ভেড়া রয়েছে।

জানা যায়, আব্দুল জব্বার মিয়ার বিবাহিত জীবনে ৪ ছেলে মেয়ের জনক। ২ ছেলে ২ মেয়ে। বড় ছেলে ঢাকায় থাকেন এবং ছোট ছেলে এলাকাতেই ভ্যান চালান। ২ মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে বিয়ে সাদি দিয়েছেন ও ছোট মেয়ে কয়েক বছর আগে মারা গেছে। বড় ছেলে ঢাকায় থাকলেও পিতা মাতা খরচ চালান না ও ছোট ছেলে আগে ভ্যান চালালেও এখন অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন বাড়িতেই। তাই আব্দুল জব্বারকে দেখার মতো থাকলেও নেই কেউ।

আব্দুল জব্বার মিয়া ছয়দফা ডটকমকে বলেন, আগে যখন শরীর ভালো ছিল তখন অন্যের জমিতে কামলা কৃষান দিয়ে সংসার চালাতাম। কিন্তু এখন তো বয়স হয়েছে কাজ করার মতো দম, সাহস, শক্তি পাই না। কি আর করি, পেট তো চলার লাগবে। তাই ২ যুগ আগে ১ টা ভেড়া কিনেছিলাম পালার জন্য, সেই ভেড়া থেকে আস্তে আস্তে অনেকগুলা ভেড়া হতে থাকে। এই ভেড়া লালন পালন করিয়া কোনো মতো জীবনটা পাড় করছি। এসব ভেড়া বিক্রি করি আর বাজার খরচ ও ঔষধ কিনি কিনি খাই।

তাই আমার জীবনে এখন আশা ভরসা আর শেষ সম্বল হচ্ছে এই ভেড়া কয়টি। যে কয়দিন বেঁচে আছি এসব ভেড়া পালন করে কোনো মতো বাঁচতে চাই, বেশি কিছুর আর দরকার নাই আমার।

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ