ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলায় সড়কের পাশে বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষ করে এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন কৃষক আলতাফ হোসেন। তিনি উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সড়কের পাশে আধা কিলোমিটার এলাকায় ৪০০ পেঁপে গাছ সৃজন করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। প্রথম বছরেই ১ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন বলে কৃষক আলতাফ হোসেন আশা করছেন ।
সম্প্রতি জেলার খানসামা উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের গুলজার রহমানের পুত্র আলতাফ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তারা পিতা ও পুত্র দুজনই কৃষক। কৃষি বিভাগের পরামর্শে বগুড়া থেকে গত জুন মাসে থাইল্যান্ডের গ্রিন লেডি জাতের ৪০০ পেঁপে চারা এনে বাড়ি সংলগ্ন সড়কের পাশে সৃজন করেন। এই উপজেলার জমিদার নগর থেকে বরলাম বাজার যাওয়ার পথে কাঁচা সড়কের দুই পাশে গাছে ঝুলে থাকা দৃষ্টিনন্দন সবুজ পেঁপে দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায় পথচারীদের।
কৃষক আলতাফ হোসেন জানান,গত দু‘দিনে গাছগুলো থেকে ১০ মণ পেঁপে সংগ্রহ করে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। ভালো দামে পেঁপে বিক্রি করতে পারায় তিনি বেশ খুশি। প্রথম ধাপে প্রতি গাছ থেকে ৫ থেকে ৭ কেজি করে পেঁপে সংগ্রহ করেছেন। গড়ে ১০ মণের বেশি পেঁপে বিক্রি করেছেন। বাজারে প্রতি মণ পেঁপে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
আলতাফ হোসেন আরও বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রবি শষ্য চাষ করি। এবার নতুন করে পেঁপে চাষ করার পরামর্শ দেন কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার। তার পরামর্শে সড়কের পাশে পরিত্যক্ত জায়গার জঙ্গল পরিষ্কার করে পরীক্ষামূলকভাবে ৪০০ পেঁপে গাছ রোপন করি।
ফারুক নামে এক পথচারী বলেন, ‘আমি এ পথ দিয়ে হাট-বাজারে আসা-যাওয়া করি। কৃষক আলতাফ হোসেন সড়কের পাশের জঙ্গল পরিষ্কার করে পেঁপে চাষ করেছেন। পেঁপে গাছ রোপন করে সড়কের দুই ধার সুন্দর করে তুলেছেন। এখান দিয়ে আসা- যাওয়ার সময় গাছে পেঁপে দেখে মানুষের দৃষ্টি জুড়িয়ে যায়।
খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ‘আলতাফ হোসেন একজন স্মার্ট কৃষক। এই পেঁপে তিনি স্থানীয় বাজারেই বিক্রি করে থাকেন। এর আগেও তিনি কৃষিকাজের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন।’
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘আলতাফ হোসেন কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৩ মাস আগে গ্রিন লেডি পেঁপের চারা সৃজন করেছিল। তিনি পেঁপে চাষ করে ভালো লাভবান হচ্ছেন।’
কৃষক আলতাফ হোসেন ২০১৬ সালে আদা চাষ করে দ্বাদশ সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মেলায় বছরের ‘শ্রেষ্ঠ কৃষি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা’ হিসেবে রানারআপ হয়েছিলেন।