পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক: হিমেল হাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে রংপুরসহ উত্তরের বিভিন্ন জেলায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গতকাল ভোর থেকে এসব অঞ্চলে ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচল করেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দুর্ঘটনা এড়াতে রেলপথেও গতি কমেছে ট্রেনের।

রংপুর নগরের শাপলা চত্বর, নিউ আদর্শপাড়া, বাবুখাঁ, কামারপাড়া, লালবাগ, টার্মিনাল রোডসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে মানুষের উপস্থিতি কম ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হওয়া মানুষ দেখা গেছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১৩ দশমিক ২, ডিমলায় ১৩ দশমিক ৬, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১৪ দশমিক ৮ এবং গাইবান্ধায় ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে নীলফামারীতে ঘন কুয়াশার কারণে আকাশ ও সড়কপথে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। গতকাল সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট ওঠানামা করেনি। এতে বেসরকারি দুই কোম্পানির দুটি ফ্লাইটের প্রায় ৮০ যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়ে। কোনো ফ্লাইট বাতিলের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া উত্তরের হিমেল বাতাসে নওগাঁয় বাড়ছে শীতের অনুভূতি। জেলার বদলগাছীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

কনকনে শীত জেঁকে বসেছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটেও। ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল বেলা ১১টা পর্যন্ত ট্রেন-বাস গুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে। এছাড়া সড়কে ট্রাক, বাস, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যানবাহনও হেডলাইড জ্বালিয়ে চলাচল করেছে।

তবে কুড়িগ্রামে কুয়াশা কিছুটা কমলেও তাপমাত্রা রয়েছে নিম্নগামী। হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গতকাল সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন থেকে প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমতে থাকবে। ২০ ডিসেম্বরের পর এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

অন্যদিকে অগ্রহায়ণের শেষে এসে চুয়াডাঙ্গায় দ্রুত কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। একদিনের ব্যবধানে জেলার তাপমাত্রা কমেছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাসরিন জানান, গতকাল সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ।

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ