ছয় দফা নিউজ ডেস্ক: শীতের সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার অনেক উপকারিতা আছে। তবে ঠান্ডা পানি প্রথমেই মাথায় ঢালা ঠিক না। এতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে আগে শরীরে পানি ঢালতে হবে তারপর ধীরে ধীরে মাথায় পানি নিতে হবে। এই নিয়ম মেনে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে অনেক উপকার পাবেন।
ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। উষ্ণতা অনুভব করবেন । গরম পানি দিয়ে গোসল করার সময়, রক্ত সঞ্চালন উপরের দিকে চলে যায় এবং ঠান্ডা পানিতে গোসলের সময় রক্ত বিপরীত দিকে যায়। এতে ধমনীগুলো শক্তিশালী হয়। রক্তচাপ কমে। ত্বক থাকে স্বাভাবিক। এ কারণে টানা অনেকক্ষণ কাজ করার পরেও শরীরে ক্লান্তি আসে না। দিনের শুরুতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে শরীর ফুরফুরে থাকে।
ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে শরীরে থাকা ব্রাউন অ্যাডিপোজ টিস্যুগুলো সক্রিয় থাকে। শরীর থাকে উষ্ণ। কনকনে শীতের সকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে ত্বকের সহ্যক্ষমতা বাড়ে। পেশি ও গাঁটের সংযোগস্থলে রক্ত সঞ্চালনও ঠিক থাকে।
শীতকালে ঠান্ডাজনিত সমস্যা, যেমন সর্দি-কাশি দূর করতে চাইলে সকাল সকাল ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করেন, বিশেষ করে শীতের দিনে, তাদের অসুস্থতার হার কমে আসে। যা ২৯ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
গরম পানিতে গোসল করলে চুলে থাকা প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায়। এতে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ, শুষ্ক। ঠান্ডা পানি চুলের স্বাভাবিক তৈলাক্ততা ঠিক থাকে। এর ফলে মাথার কিউটিকল যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই উজ্জ্বল ও স্বাভাবিক চুলের দেখা পাওয়া যায় শীতেও।
ঠান্ডা পানিতে নিয়মিত গোসল করলে মাথায় খুশকির উপদ্রব বাড়তে পারে না। সোরিয়াসিস বা একজিমার মতো রোগের উপশম কমাতে ঠান্ডা পানি বেশি উপকারি। ঠান্ডা পানি মাথা ঠান্ডা রাখতে ও চুলকানি কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।
তবে শতের সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার ক্ষতিকর দিকও আছে। এই অভ্যাস ব্রেন স্টোক বা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। শরীরের কেন্দ্রীয় তাপমাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য হঠাৎ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শ ক্ষতিকারক হতে পারে।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস