পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

দেশের মানুষের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত প্রধানমন্ত্রী

ছয়দফা নিউজ ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের জীবন বদলাতে প্রয়োজনে বাবার মতো জীবন দিতে হয়, তাহলে আমি প্রস্তুত, এটা আপনাদের জানিয়ে গেলাম।

বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছিল। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু হয়েছিল। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে এসে এই রংপুর বিভাগের প্রতিটি জেলা, বলতে গেলে বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমি ঘুরেছি। দেখেছি মানুষের হাহাকার। একসময় মিটিংয়ে আসলে দেখতাম, ছিন্ন, বস্ত্র, পেটে খাবার নাই, দরিদ্র মানুষ দেখেছি। আমাদের প্রতিজ্ঞা ছিল, যখনই সরকার গঠন করতে পারব, এই মানুষের ভাগ্য আমরা পরিবর্তন করব। দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করব। আজকে অত্যন্ত এটুকু বলতে পারি- আজকের বাংলাদেশে দারিদ্রতার হার কমাতে পেরেছি, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ করতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন সরকারে ছিলাম তখনও মঙ্গা ছিল না। ২০০১ সালে যখন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসে তখন দুই হাতে টাকা পয়সা লুট করে। সে ও তার ছেলেরা মিলে এদেশে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। আবার দেশে মঙ্গা শুরু হয়। ২০০৮ এর নির্বাচনের পর আমি যে পদক্ষেপ নিয়েছি, তারপর থেকে এ দেশের মানুষের কোন কষ্ট হয় নাই।

জাতির পিতাকে অবৈধভাবে হত্যার পর মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছিল। সে সময় বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরেছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেখিছে মানুষের হাহাকার। আমাদের প্রতিজ্ঞা ছিল যখন সরকার গঠন করতে পারবো তখন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবো। আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেসব স্বপ্ন দেখে গেছেন তা পূরণ করছি। দেশের দারিদ্র্যের হার কামাতে পেরেছি। খুদামুক্ত দেশ করতে পেরেছি।

মানুষ এখন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে অনেক আন্দোল করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছি। মানুষ এখন শান্তিতে ভোট দিতে পারে। ভোট দেওয়ার জন্য ভোটার তালিকাও করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমারা প্রত্যেক এলাকায় উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। নারীদের জন্য কাজের সুবিধা করে দিয়েছি। আমাদের কাজের লক্ষ্য দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করা, দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নতি করা। এ অঞ্চলে জীবনেও দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে না, মঙ্গা দেখা দেবে না। বাংলাদেশে কোনো ভূমিহীন মানুষ থাকবে না। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তায়নও করবো।

সরকার প্রধান বলেন, সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। কয়লার দাম ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ নিয়ে কয়েকদিন কষ্ট হয়েছে। এরপর এখন ঠিক হয়ে গেছে। বিদ্যুতের আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

তিনি বলেন, আমি খালি হাতে আসিনি। আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। কতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করেছি। যাতে প্রত্যেকটা উন্নয়ন তরান্বিত হয় তার ব্যবস্থা করেছি।

বিএনপি কত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এরা মানুষের জাত না বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় থাকলে লুট করে তারা। না থাকলেও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তারা শুধু জ্বালাও-পোড়াও আর ধ্বংসই করতে পারে। খালেদা জিয়া ও তার কু-পুত্র তারেক জিয়া লুটপাট করতে জানে। তারা ধ্বংস করে আর আমরা সৃষ্টি করি। নৌকা ক্ষমতায় এলে কাজ হয় আর অন্য কেউ এলে কোনো কাজ হয় না।

আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় রংপুর কোনোদিন মঙ্গা হয় নাই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলে, এ দল সরকারে এলে এবং নৌকায় ভোট দিলে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় আমরা তা প্রমাণ করেছি। খালেদা জিয়া মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এসবের পরিবর্তন হয়েছে। সাড়ে ১৪ বছর যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান আমরা করতে পেরেছি। ট্রেনিং দিয়েছি, কাজের ব্যবস্থা করেছি।

তিনি বলেন, রংপুরকে বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী লীগ কৃষকের বন্ধু। কুষকদের জন্য কুড়িগ্রামে ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সারের দাম কমিয়ে দিয়েছি। অথচ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে কৃষক সার চাইলে গুলি করে হত্যা করেছেন।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একে এম শাহাদাত হোসেন।

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ