ছয় দফা নিউজ ডেস্ক: ভারতে ‘রাজনৈতিক শস্য’ হিসেবে খ্যাত পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির জেরে ক্ষমতার রদবদল নতুন নয়। তাই ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে মরিয়া বিজেপি সরকার।
মাস তিনেক আগে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বেঁধে দিলে বাংলাদেশে পণ্যটির দাম একদফা বেড়ে যায়। এরপর পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, মিশরসহ ৯টি দেশ থেকে কিছু কিছু আমদানি করে দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়।
চলতি বছর ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পেঁয়াজের খুচরা মূল্য গত মাসের শেষে ৯৪ শতাংশের বেশি বেড়ে কেজি প্রতি প্রায় ৫৮ রুপিতে পৌঁছায়, যা এক বছর আগে ৩০ রুপির নিচে ছিল। আর অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে পেঁয়াজের দাম বাড়ে ৫৮ শতাংশ। মূলত বর্ষা মৌসুম শেষে অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিতে মহারাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ আবাদি পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ অবস্থায় রপ্তানি কমাতে গত আগস্টে পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে প্রতি টন ৮০০ ডলার করে নয়াদিল্লি। ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের এ সিদ্ধান্ত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকার কথা ছিল। যদিও তার আগেই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো ভারত সরকার।
এদিকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের শুল্ক আরোপ বা নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের বাজারে সরাসরি প্রভাব ফেলে। গত আগস্টে দেশটি রপ্তানির ন্যূনতম মূল্য ঠিক করে দিলে বিকল্প বাজারের শরণাপন্ন হয় বাংলাদেশ।
আবারও ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে দেশের বাজারে তাৎক্ষণিকভাবে দাম বেড়েছে। শনিবার দেশি পেঁয়াজ ২০০ টাকায় বিক্রি হয়, যা একদিন আগেও ছিল ১২০ টাকা। এছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৯০-১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত দাঁড়ায়।
এদিকে চলতি বছর প্রধান খাদ্যশস্য চাল রপ্তানিও নিষিদ্ধ করে দেশটি। বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশের এ পদক্ষেপ বিশ্ববাজারেও আলোড়ন তোলে। এছাড়া ভারতের গম, ডাল ও চিনির বাজার অস্থির রয়েছে। সবমিলিয়ে আসছে জাতীয় নির্বাচনের আগে বড় ধরনের চাপের মুখে নরেন্দ্র মোদির সরকার।