ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
ডিসেম্বরের শুরুতেই হবে ২৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব৷ এই উৎসবে মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘নোনা পানি’। খুলনা অঞ্চলের মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন সৈয়দা নিগার বানু। চলচ্চিত্র উৎসবে ‘এশিয়া সিলেক্ট’ বিভাগে সিনেমাটির ‘ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার’হবে। এই উৎসবের এবারে আসরে এটিই একমাত্র ছবি যেটি বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে।
উৎসবটি আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের যাপিত জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘নোনা পানি’। চলচ্চিত্রটি সম্পূর্ণ চিত্রায়িত হয়েছে খুলনার বিভিন্ন গ্রামে। নির্মাণপ্রক্রিয়ায় যুক্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই খুলনার স্থানীয়।
সৈয়দা নিগার বানু বলেন, ‘আমাদের টিমের জন্য এটা খুবই আনন্দের যে, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রটি ‘ওয়ার্ল্ড সিনেমা’-য় যাত্রা শুরু করল। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশের সুন্দরবন সংলগ্ন নোনা পানি অঞ্চলের সাধারণ মানুষের না বলা গল্পটি বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে যাবে।’
‘নোনা পানি’ সিনেমাটির গল্পে দেখা যাবে রোম্বা, দশপাই ও কৃষ্ণা তিনজনের চরিত্র। আইলার শিকার রোম্বা একজন স্বামী পরিত্যক্তা এবং এক সন্তানের জননী।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে সে তার ছোট ছেলে সোহাগকে নিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় অভিবাসিত হয়েছে বটখালি গ্রামে। যার পেশা নদী থেকে চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করা। দশপাই ,সে নারী না পুরুষ তাই নিয়ে সন্দেহ কাটে না গ্রামের মানুষের। গ্রামের মেয়েদের নাক কান ফুটিয়ে জীবন নির্বাহ করা দশপাইয়ের মুক্ত পৃথিবী হলো একটি রেডিও। বাইরের জগতের সাথে যোগাযোগের তার একমাত্র মাধ্যম এই রেডিওটি।
রেডিওতে মগ্ন নানান ভাষা ও সুরের মাধ্যমে এই চরিত্রটি পৃথিবীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে।
অন্য দিকে যাত্রাদলের কৃষ্ণা যার একটি সুরেলা কণ্ঠ থাকলেও তাকে দেখতে মোটেও আকর্ষণীয় লাগে না। নায়িকা হয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে জয় পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয় তাকে।
আবুল খায়ের লিটু প্রযোজিত ‘নোনা পানি’-র চিত্রগ্রহণ করেছেন নেহাল কোরেয়েশী। সম্পাদনা করেছেন ইকবাল কবীর জুয়েল। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিলকিস বানু, রাকিবুল হক রিপন, জয়িতা মহলনাবিশ, রুবল লোদী, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, বীণা মজুমদার, সুকান্ত সরকার প্রমুখ।