পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

আফ্রিকার ছয় দেশে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পাঠাবে রাশিয়া

ছয়দফা নিউজ ডেস্ক:

আফ্রিকার ছয় দেশকে বিনামূল্যে ৫০ হাজার টন খাদ্যশস্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে আফ্রিকার দেশগুলোর জোট আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ঘোষণায় তিনি এ কথা জানান। খবর ডয়চে ভেলে।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের শস্য কৃষ্ণ সাগর বন্দর থেকে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার দেশগুলোতে যাওয়ার অনুমতি বাতিল করে রাশিয়া। এরপর এই ঘোষণা আসে। 

দেশগুলো হলো- বুরকিনা ফাসো, জিম্বাবুয়ে, মালি, সোমালি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং ইরিত্রিয়া।

পুতিন বলেন, আগামী তিন চার মাসে এই ছয়টি দেশের প্রত্যেককে ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টন পর্যন্ত গম পাঠানো হবে এবং এই বাবদ যে খরচ হবে, তাও বহন করবে রাশিয়া।

গত বছরের আগস্টে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের সঙ্গে শস্যচুক্তি সাক্ষর করেছিল রাশিয়া। কিন্তু প্রতিশ্রুত শর্ত না মানার অভিযোগে সম্প্রতি সেই চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে দেশটি। তাদের একটি অভিযোগ ছিল, আফ্রিকার অতি দরিদ্র দেশগুলোতে শস্য পৌঁছাচ্ছে না।

পুতিন বলেন, ‘গমের আন্তর্জাতিক বাজারে ২০ শতাংশ সরবরাহ যায় রাশিয়া থেকে। অন্যদিকে ইউক্রেন থেকে আসে ৫ শতাংশ সরবরাহ। গত বছর শস্যচুক্তি সম্পাদনের সময় আমরা শর্ত দিয়েছিলাম- পশ্চিমা দেশগুলো আমাদের কৃষি, খাদ্যপণ্য ও সারের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেসব যেন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। চুক্তির অন্যান্য অংশীদাররাও সেই শর্তে রাজি হয়েছিল। কিন্তু আমরা দেখলাম- এই শস্যচুক্তিকে তারা সম্পূর্ণ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করেছে এবং ইউক্রেনের গমের সব চালান গেছে ইউরোপে।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আফ্রিকা ও বিশ্বের অন্যান্য দরিদ্র দেশ সেই গমের সুফল পায়নি। আমাদের কৃষিপণ্য ও সারের ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা তারা (পশ্চিমা বিশ্ব) দিয়েছিল, সেসবও প্রত্যাহার করা হয়নি।

রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ই বার্লি, গম, ভুট্টা, সূর্যমুখী তেল এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্যে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ করে। অনেক উন্নয়নশীল দেশ এ দুই দেশের খাদ্যশস্যের উপ নির্ভরশীল। গত বছর রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর এ সরবরাহের রফতানি বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে এবং খাদ্য নিরাপত্তা ও ক্ষুধা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

যুদ্ধ সত্ত্বেও ২০২২ সালের মাঝামাঝি জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় প্রায় ৩৩ মিলিয়ন টন ইউক্রেনীয় শস্য রফতানি করার অনুমতি দেয়।

তথ্যসূত্রঃসময়ের আলো

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ