ছয়দফা নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ঋণের আরো ১০ কোটি ডলার ফেরত দিলো শ্রীলঙ্কা। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি ডলার ঋণের ৭৫ শতাংশ অর্থ বা ১৫ কোটি ডলার বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ফেরত দিয়েছে দেশটি। এর আগে গত ২০ আগস্ট শ্রীলঙ্কা প্রথম ৫ কোটি ডলার ফেরত দেয়। তারপর গত ৩১ আগস্ট আরও ১০ কোটি ডলার দিয়েছে। চলতি মাসে ঋণের বাকি পাঁচ কোটি ডলার ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে দেশটির। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা যায়, ২০২১ সালের মে মাসে এক বছর মেয়াদে এ ঋণ নিয়েছিল দেশটি। তবে গত বছর অর্থনৈতিক সংকট প্রকট হলে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। সে কারণে কয়েকবার ঋণ পরিশোধে সময় নেয় তারা। চলতি বছর শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শ্রীলঙ্কার পর্যটন খাত ব্যাপক ক্ষতিতে পড়েছিল। বৈদেশিক বিনিময়ে প্রতিনিয়ত মান হারাতে শুরু করে দেশটির মুদ্রা রুপি। এতে টান পড়ে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুতে। এমন পরিস্থিতিতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ডলার ধার করে শ্রীলঙ্কা। এরই অংশ হিসেবে ২০২১ সালের মে মাসে বাংলাদেশ সরকারও ২০ কোটি ডলার ধার দেয় দেশটিকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে এ ডলার দেওয়া হয়।
‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে ২০২১ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় এসেছিলেন। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। ওই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ডব্লিউ ডি লক্ষ্মণ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে ডলার চেয়ে চিঠি দেন। এরপরই কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ধার হিসেবে নয়, বরং ডলারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কান রুপি অদলবদল বা সোয়াপ করেই তা দেওয়া হয়। এর বিপরীতে কিছু সুদও পায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কাছে ২০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ শ্রীলঙ্কান রুপি জমা ছিল। এর মধ্যে ১৫ কোটি ডলার শোধ করায় ইতিমধ্যে সমপরিমাণ রুপি দেশটিকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।