ছয়দফা নিউজ ডেস্ক:
দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলার জেটিতে প্রথমবারেরমত সাড়ে আট মিটারের গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ নোঙ্গর করেছে। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় ৯ নম্বর জেটিতে সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী ‘এমভি মারস্ক নুসান্তরা’ জাহাজটি নোঙর করে। জাহাজে ৪৭৯ টিউজ কন্টেইনার এসেছে। এরমধ্যে ৩৬৭টি টিউজ কন্টেইনারে রেডিমেইড পোশাক, পাট ও পাটজাত এবং হিমায়িত পণ্য বোঝাই হয়ে বিদেশে রফতানি হবে। এর আগে বন্দর জেটিতে যেসব জাহাজ এসেছে, তার বেশিরভাগই সাত এবং আট মিটার গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ। জেটিতে প্রতিনিয়ত ড্রেজিং করার ফলে এই প্রথমবার সাড়ে আট মিটার গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ ভিড়েছে বলে জানান মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ সচিব মোঃ মাকরুজ্জান।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তার মধ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ অন্যতম। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সাথে সাথেই এ বন্দর দিয়ে রেডিমেড গার্মেন্টস পন্যসহ বিভিন্ন পন্য রফতানি শুরু হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরের কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করা লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৫ জুলাই বিভিন্ন শিপিং এজেন্ট, খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, বিভিন্ন পাট ও পাটজাত পন্য রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান, হিমায়িত মাছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মোংলা বন্দরে দ্রুত জাহাজ হ্যান্ডলিং করা, বন্দরে পর্যাপ্ত ইয়ার্ড ও শেড, জেটি অভ্যন্তরে কন্টেইনার স্টাফিং সুবিধার নিয়ম অনুসরণ না করা, পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সুবিধা ও নিরাপদ হওয়ায় এবং একই সাথে ঢাকার সাথে দূরত্ব কমে যাওয়ায় সময় ও অর্থ দুয়েরই সাশ্রয়ী হওয়ায় ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছে। উল্লেখযোগ্য রফতানি পন্যের মধ্যে রয়েছে রেডিমেড গার্মেন্টস, পাট ও পাটজাত পন্য এবং হিমায়িত মাছ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, মোংলা বন্দর জেটিতে সাড়ে আট মিটার গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ ভেড়ায় বন্দরের জন্য একটি নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। বন্দরের সক্ষমত বেড়েছে কয়েকগুন। পদ্মা সেতুর কল্যাণে এই বন্দর এখন বিশ্বমানের বন্দরে রুপান্তরিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।