পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

৬ সেপ্টেম্বর আসছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল

ছয়দফা নিউজ ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল দুই সপ্তাহের জন্য আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসছে। প্রতিনিধি দলটি কারিগরি প্রতিনিধি দল হিসেবে আর্থিক খাতের বিভিন্ন ঝুঁকি বিষয়ে বাংলাদেশের আইনি কাঠামো নিয়ে আলোচনা করবে। এ আলোচনার ভিত্তিতে আইএমএফের পরবর্তী ঋণের কিস্তি ছাড় করার ব্যাপারে নীতিগত সম্মতি জানাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত জুলাই মাসে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ১২ দিনের সফরে ঢাকায় আসে। তারা দেশের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে তাদের শর্ত কতটুকু প্রতিফলন হয়েছে তা জানতে চায়। তবে ঋণের জন্য যে মোট ৩৮টি শর্ত রয়েছে তা বাস্তবায়ন নিয়েও আলোচনা অব্যাহত রাখতে চায়। এরই ধারাবাহিকতায় কারিগরি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এদিকে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থানকালে প্রতিনিধি দল প্রথমদিন অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর অর্থ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করবে। ওইদিন তারা বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইবেন। এর মধ্যে আর্থিক খাতের ঝুঁকি একটি ইস্যু। এ ঝুঁকি এড়াতে বা ঝুঁকি মোকাবিলা করতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চাইবে প্রতিনিধি দলটি। আর্থিক খাতের ঝুঁকি নিয়ে অর্থ বিভাগ থেকে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে।

একই দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের লোকসানের পরিমাণসহ কী পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে তা জানার আগ্রহ রয়েছে আইএমএফের কারিগরি প্রতিনিধি দলের। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো, কীভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য বাজেট নির্ধারণ করা হয়- এসব নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। অনেক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সরকারের কাছ থেকে ঋণ নেয়। এসব ঋণের অবস্থা সম্পর্কে প্রতিনিধি দলকে অবহিত করা হতে পারে। সেদিন বিকালে অর্থ সচিবের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে বলেও জানা গেছে।

পরদিন অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর প্রতিনিধি দল সামষ্টিক অর্থনীতির সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হবে। একই সঙ্গে সামষ্টিক অর্থনীতিতে কী ধরনের ঝুঁকি রয়েছে বা ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা হবে। একই দিন অর্থবিভাগের পিপিপি ইউনিটের সঙ্গে বৈঠক হবে। যেখানে ভিজিএফসহ আরও অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পর্যায়ক্রমে অর্থ বিভাগের সঙ্গে দায়দেনা, সরকারের কোন খাতে কত টাকা গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে তা বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।

সামষ্টিক অর্থনীতি উইংয়ের সঙ্গে বৈঠক হবে ৮ সেপ্টেম্বর। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবিলায় কী পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে তা অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হতে পারে। একই দিনে বৈঠক হবে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। এখানে মূলত প্রাকৃতিক দুর্যোগ অর্থনীতির ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলছে ও তার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে। বৈঠকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সরকার কী পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে তার একটি খতিয়ান তুলে ধরা হতে পারে। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে কী পরিমাণ আর্থিক সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে বিষয়টি জানার আগ্রহ রয়েছে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের।

একই দিনে বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সেখানে পিপিপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পিপিপি ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া ও ঝুঁকির ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই বৈঠকে পিপিপির পলিসি, ফ্রেমওয়ার্ক ও প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা ছাড়াও পিপিপির আওতায় প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকছে।

একই দিনে আবার অর্থ বিভাগের সঙ্গে আরেক দফা বৈঠক হবে।

১১ সেপ্টেম্বর বৈঠক হবে পরিবহন খাতের সঙ্গে। এরপর বৈঠক রয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সঙ্গে। এ বৈঠকে বিভিন্ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের বেশ কিছু প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অর্থনৈতিক দিক থেকে কী ধরনের প্রভাব পড়ে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হবে ১২ সেপ্টেম্বর। এখানে মূলত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাতে দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক ও রাজস্ব খাতে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। এ ছাড়া রাজউক, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পরবর্তী সময়ে যেসব বৈঠক হবে তা বেশিরভাগ ফলোআপ। আর তা হবে অর্থ বিভাগের সঙ্গে। তবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আলাদা বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

তথ্যসূত্রঃসময়ের আলো

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ