ছয়দফা নিউজ ডেস্ক:
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অর্থাৎ বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে কাওলায় প্রধানমন্ত্রী এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশে সাধারণ যানবাহন চলাচল করতে পারবে। আগামীকাল থেকে এই সড়ক দিয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেটে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট।
বিদেশি বিনিয়োগে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় পরিবহন খাতে এটাই প্রথম প্রকল্প। সম্পূর্ণ এক্সপ্রেসওয়ে অর্থাৎ তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত আগামী বছরের জুনে বাকি অংশের কাজ হবে।
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কুড়িল এলাকায় একটি কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। পিপিপি প্রকল্পের ৩টি প্রাইভেট অংশীদারের মধ্যে একটি চীনা ফার্ম ‘চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কর্পোরেশন’ এই কন্ট্রোল সেন্টারটি পরিচালনা করবে। কুড়িল, বনানী, মহাখালী এবং তেজগাঁও হয়ে বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশটি শহরের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর থেকে আসা-যাওয়ার বিকল্প রুট হিসেবে কাজ করবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠানামা (র্যাম্প) করার ব্যবস্থা থাকছে। কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশে ওঠা নামার জন্য মোট ১৫ টি র্যাম্প থাকবে। এর মধ্যে ১৩টি র্যাম্প রোববার যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ৩ চাকার যান ও বাইসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। অন্যান্য যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শহরের যানজট কমাতে যে দুটি এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হচ্ছে তার মধ্যে একটি। দুটি এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে দেশের উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকা হয়ে যাতায়াতের সময় রাজধানীর যানজট এড়ানো সম্ভব হবে। ট্রাক এবং লরি, যা এখন দিনের বেলা শহরে প্রবেশ করতে পারে না, সেগুলোও এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে।