পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

অপরাজনীতি ছাড়তে বিএনপিকে ৩৬ দিনের পাল্টা আল্টিমেটাম আওয়ামী লীগের

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের মুখে দলটিকে পাল্টা ৩৬ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এই সময়ে মধ্যে বিএনপিকে অপরাজনীতি, নাশকতা, আগুনসন্ত্রাস ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপির জন্য সর্বশেষ বার্তা ৩৬ দিনের আল্টিমেটাম। তাদেরকে অপরাজনীতি ছাড়তে হবে, নাশকতা ও আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি ছাড়তে হবে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়তে হবে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ৩৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। অথচ তার জন্য দলটি ৩৬ মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি। শেখ হাসিনার মহানুভবতার জন্য তিনি (খালেদা জিয়া) এখনও বাসায় আছেন।

তিনি আরও বলেন, ৩৬ দিন সময় দিলাম, ঠিক হয়ে যান। বিএনপির আন্দোলনের কোমর ভেঙে গেছে। বিএনপি নেতারা এখন আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তাদের বাজার ভেঙে গেছে। লোক আসে না তাদের সভা সমাবেশে, কর্মীদের বুঝি আর কতদিন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, মির্জা আজম, সংসদ সদস্য হাবিব হাসান, সাদেক খান, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল। সমাবেশে সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু জনগণের পরোয়া করে। কোনো ভিসানীত আমরা মানি না। কারো নিষেধাজ্ঞা ও খবরদাতিতে বাংলাদেশের নির্বাচন হবে না। সাত সমুদ্রের ওপার থেকে ভিসানীতি দেয়ার তুমি কে? যারা স্যাংশনের কথা বলে, তাদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ত্রুটিমুক্ত নয়। তাদের দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পতাকা ভুলণ্ঠিত হচ্ছে। কিছুই তারা করতে পারছে না।

আমার সংবিধান আমাকে বলে দিয়েছে, কীভাবে নির্বাচন হবে।

বিএনপি ভিসানীতির ওপর ভর করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে খেলায় হেরে যাবে। দলটির হাতে ক্ষমতায় আসার সুযোগ আছে মাত্র একটি। সেটা হলো নির্বাচন। নির্বাচনে যদি না আসে তবে ভোটের আগেই হেরে যাবে। তাই বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের নেতা তারেক রহমানও তো ভিসানীতির নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিল। আপনারা কী সে কথা ভুলে গেছেন? আগে নিজেদেরটা সমাধান করেন। পরে আওয়ামী লীগকে নিয়ে ভাবেন।

আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তখন হবে ফাইনাল খেলা। তারা যদি অস্ত্র নিয়ে আসে তবে বিএনপির অপরাজনীতির কালো হাত গুড়িয়ে দিতে হবে। যদি আগুন নিয়ে আসে ওই হাতে ভেঙে দিতে হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ৭৫’ পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা একমাত্র জনপ্রিয় নেতা। তাই তাকে ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছে। সুতরাং আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ভিসানীতির অন্তরালে কী লুকিয়ে আছে দেশবাসী জানতে চায়। এর পেছনে যদি অসাংবিধানিক সরকারকে ক্ষমতায় আনতে ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে, তবে তা জনগণ মেনে নেবে না।

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ