পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪

তিস্তার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
জেলায় আজ তিস্তার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েণ্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। পানি দ্রুত কমায় উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষয়ক্ষতি নেই বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

বুধবার বিকেল চারটার দিকে ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। এরপর রাত ৮টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নয়টার দিকে কমতে শুরু করলে উন্নতি হতে থাকে বন্যা পরিস্থিতির।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বুধবার বিকেল চারটায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েণ্টে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে পাঁচ সেণ্টিমিটার ওপরে উঠে। সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে বিপৎসীমার ২০ সেণ্টিমিটার এবং রাত ৮টায় ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে। এরপর থেকে পানি কমে রাত ১০টায় বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার এবং রাত ১১টায় ২৩ সেন্টিমিটার নিচে নামে।

এর আগে বুধবার সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার, বেলা ১২টায় ৭৬ সেন্টিমিটার, দুপুর ১টায় ৭২ সেন্টিমিটার, দুইটায় ২৫ সেন্টিমিটার, তিনটায় ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় সেখানে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার এবং বিকেল তিনটায় ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো নদীর পানি।

ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অসময়ের এ ঢলে কৃষকের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।’

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদ্দৌলা বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েণ্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৮ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বেলা ৩টায় ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’

ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার আলী বলেন,‘ডিডি স্যারসহ আমরা বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছি। এলাকা ঘুরে কোথাও কোন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে পাইনি’।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন,‘পাঁচ ঘন্টার মত পানি ছিল, আমাদের যেমন স্বাভাবিক সময়ে পানি বাড়ে, মাঝে মধ্যে যেমনটা হয় এবারের পরিস্থিতি তেমনটাই ছিল। এখন পানি অনেকটা নেমে গেছে। কোথাও কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাইনি। সামান্য একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের পুকুরের পাড় ভেঙ্গে গেছে সেটিকে বড় ক্ষতি বলা যাবে না। কোন ক্ষয়ক্ষতি বা জানমালের ইস্যু আসেনি’।

বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা গতকাল ভোর থেকে কাজ শুরু করেছেলিাম, ডিসি স্যার ছিলেন, আমি, ওসি, পিআইও ইউপি চেয়ারম্যানগণ সারাদিন মাঠে ছিলেন। মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হয়েছিল’।

জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন,‘গতকাল বিকেলে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে অবস্থান নেয়। এরপরে পানি কমতে শুরু করে, আজ সকালে পানি বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচে নেমেছে। এই মুহুর্তে বন্যা পরিস্থিতি নেই, তবে আমাদের সার্বিক প্রস্ততি নেওয়া আছে’।

তিনি বলেন, ‘তিস্তা তীরবর্তী এলাকাগুলোতে মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করা হয়েছে। আমাদের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে শুকনো খাবার এবং ত্রাণের চাল মজুদ রাখা হয়েছে। উদ্ধার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক নৌকা প্রস্তত রাখা হয়েছে। আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে, যেকোন রকমের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে মানুষের জান-মালের যাতে ক্ষতি না হয় সে ধরণের সকল প্রস্তুতি রাখা হয়েছে’।

তথ্যসূত্রঃবাসস

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ