ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
ভারতের উত্তর কাশীর সুড়ঙ্গে ক্রমশ ঘনিয়ে আসছে অন্ধকার। ধীরে ধীরে ৪১ শ্রমিকের ঘরে ফেরার আশা ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। যদিও দেশটির প্রশাসন বলছে, ‘এসব শ্রমিক সুস্থ রয়েছেন। তবে তাদের উদ্ধারে আরও চার-পাঁচদিন সময় লাগবে।’ ভারতীয় প্রশাসনের এই আশ্বাস আটকে পড়া স্বজনদের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। এমতাবস্থায় আটকে পরা শ্রমিকের উদ্ধারে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বিশেষ দল একটি পাঁচটি বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
উত্তর কাশীর সুড়ঙ্গে ধস নামার পর এরই মধ্যে প্রায় ১৭০ ঘণ্টা কেটে গেছে। এখনও আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শ্রমিকদের উদ্ধার করতে এতদিন সামনে থেকে ধ্বংসস্তূপ কেটে সুড়ঙ্গের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) হঠাৎই তীব্র শব্দ শুনতে পান তারা। পরবর্তীতে খবর আসে, সুড়ঙ্গের ভেতর আবারও ধস নেমেছে। ফলে সঙ্গে সঙ্গে সুড়ঙ্গ কাটার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এখন তাদের উদ্ধারের জন্য একটি বিকল্প পরিকল্পনা দিয়েছে উদ্ধারকারী দল। এবার ভেতরে ঢোকার জন্য ওপর থেকে লম্বালম্বিভাবে সুড়ঙ্গ কাটার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অথবা নিচ থেকে একটি বিশেষ কৌণিকভাবে খোঁড়া হতে পারে রাস্তা। আবার ভেতরে পাইপ ঢুকিয়ে শ্রমিকদেরকে উদ্ধার করা যায় কি না তা নিয়েও চিন্তাভাবনা করছেন তারা।
উদ্ধারকারীরা জানান, পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে আরও অন্তত চার-পাঁচদিন সময় লাগতে পারে। এরই মধ্যে সিল্কইয়ার পর্যন্ত বিকল্প একটি রাস্তা তৈরি করে ফেলেছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। আজ রোববার থেকে সেই রাস্তা খুলে দেওয়া হবে।
এছাড়া, ৪১ শ্রমিককে কীভাবে উদ্ধার করা যায় তা পর্যালোচনা করতে ঘটনাস্থলে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের একটি বিশেষ দল পাঠানো হয়েছে। এখন তারা উদ্ধারের পাঁচটি বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে একযোগে কাজ করছে।
দলের অন্যতম সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ভাস্কর খুলবে জানান, ‘আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাতে একাধিক নীল নকশা তৈরি হয়েছে। অন্তত পাঁচটি বিকল্প পথে দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। ভগবান যদি সহায় হন, তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’
উল্লেখ্য, সিল্কইয়ারা ও দণ্ডলগাঁওয়ের অভ্যন্তরে উত্তর কাশীর সুড়ঙ্গটি তৈরি হচ্ছিল। গত রোববার ভোরে সেখানে ধস নামে। টানেলটি সাড়ে ৪ কিলোমিটার লম্বা। এর মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে ধস নেমেছিল। সেখানেই এখন আটকে রয়েছেন ৪১ শ্রমিক।