ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে শতাধিক টানেল ধ্বংসের দাবি করেছে ইসরাইল। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর দাবি, গাজায় অন্তত ১৩০টি টানেল বা সুড়ঙ্গ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া ইসরাইলের স্থল অভিযান জোরদারের পর এক দিনেই গাজা ছেড়েছেন সেখানকার ৫০ হাজার বাসিন্দা। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী টেলিগ্রামে জানিয়েছে, ‘যুদ্ধ প্রকৌশলীরা গাজায় লড়ছে এবং তারা শত্রুদের অস্ত্র খুঁজে বের করে সেগুলো সামনে আনছে এবং তাদের টানেলগুলো উড়িয়ে দিচ্ছে।’ আরেকটি পোস্টে বলা হয়, গাজার উত্তর-পূর্ব কোণে বেইত হানুন এলাকায় একটি স্কুলের কাছে সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছে সেনারা।
এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরাইল স্থল অভিযান জোরদারের পরে ওই অঞ্চল ছেড়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শুধু বুধবারই শহরটি ছেড়েছে প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা। ইসরাইলি বাহিনী গাজার উত্তর-দক্ষিণের রাস্তা দিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য নিরাপদে বের হওয়ার সুযোগ করে দিলে বাসিন্দারা গাজার উত্তরাঞ্চল ছাড়তে শুরু করে। ইসরাইল বলেছিল, তারা গাজা শহর ঘিরে ফেলেছে এবং গাজা উপত্যকাকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। আর এখন তারা বলছে, হামাস গাজার উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। হামাস পরিচালিত গাজার কর্তৃপক্ষ বলছে, গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কিছু বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ১০ হাজার ৫৬৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
জাতিসংঘ এখনও শক্ত ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। হামাস এবং ইসরাইল দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজায় যে হারে বেসামরিক নাগরিক মারা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পরিচালিত অভিযানে স্পষ্টভাবেই কিছু ভুল রয়েছে। একই সঙ্গে হামাস মানুষকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। গাজায় আটক ২৩৯ জন বন্দির পরিবার তাদের মুক্তি দেওয়ার দাবি অব্যাহত রেখেছে। এখন মোট ১২ জন বন্দির মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে তিন দিনের জন্য মানবিক বিরতি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এই বন্দিদের মধ্যে অর্ধেকই আমেরিকান।