পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

বিদ্রোহীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল হারিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
বিদ্রোহীদের কাছে আরও একটি বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। বিবিসি জানিয়েছে, এবার তাদের দখল থেকে থাইল্যান্ড সীমান্তের সঙ্গে লাগোয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। পূর্ব সীমান্তের শহর মায়াওয়ারি শহরের কয়েকশ সৈন্য কারেন বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে মিয়ানমারের যেসব ব্যবসা-বাণিজ্য হয়, তার বেশিরভাগই ওই সীমান্ত শহর দিয়ে হয়ে থাকে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অন্য বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর সঙ্গে মিলে সেখানে হামলা চালিয়ে আসছিল কারেন বিদ্রোহীরা।

শুক্রবার কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন ঘোষণা করেছে যে, মায়াওয়ারি শহরের ১০ কিলোমিটার দূরে থানগানিয়াং শহরে অবস্থিত ব্যাটেলিয়ন আত্মসমর্পণ গ্রহণ করেছে। কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, অনেক তরুণ যোদ্ধা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করছে, দাবি অনুযায়ী যা তারা সৈন্যদের কাছ থেকে জব্দ করেছে।

গত কয়েক মাসে চীন সীমান্ত সংলগ্ন শান রাজ্যের এলাকা এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের বিপুল এলাকা বিদ্রোহীদের কাছে হারিয়েছে সামরিক জান্তা। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক পরাজয়ের এটি সর্বশেষ উদাহরণ।

জান্তার হাজার হাজার সৈন্য এর মধ্যেই হয় নিহত হয়েছে অথবা আত্মসমর্পণ করেছে অথবা পালিয়ে গেছে। এর ফলে সে দেশের বাসিন্দাদের জন্য সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করেছে মিয়ানমারের সেনাসরকার।

মিয়ানমার ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন স্বশাসনের জন্য যুদ্ধ করে আসছে। তবে নব্বইয়ের দশকে তারা সরকারি বাহিনীর কাছে বেশ কয়েকটি পরাজয়ের মুখোমুখি হয়। এরপর ২০১৫ সাল থেকে সরকারের সঙ্গে তাদের একটি যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে ২০২১ সালে সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানের পর সেই পরিস্থিতি বদলে যায়।

কারেন যোদ্ধারা ঘোষণা করে, অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি বাতিল হয়ে গেছে। এদিকে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর, মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের কাছাকাছি এবং থাই সীমান্তের সঙ্গে সবচেয়ে ভালো যোগাযোগের মাধ্যম থাকা কারেন রাজ্যটি সরকারি বিরোধীদের কাছে সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন শহর থেকে সেখানে যাওয়া অনেক তরুণ যোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন। এই যোদ্ধারা সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটিতে নতুন করে হামলা শুরু করেছে। সেইসঙ্গে কারেন ন্যাশনালিস্ট ডিফেন্স ফোর্স এবং কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির মতো অন্য বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর সঙ্গে মিলে যৌথ হামলা শুরু করেছে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন।

তথ্যসূত্রঃসময়ের আলো

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ