ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
বন্যায় ডুবে যাচ্ছে রাশিয়ার ওরেনবুর্গ অঞ্চলের নগরী ওরস্ক। আজ সকালেও নগরীতে ৬ হাজার ৯৯৫টি আবাসিক ভবন প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে ৮০০ শিশুসহ প্রায় আড়াই হাজার বাসিন্দাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটির জরুরি সেবা বিভাগের বরাতে রুশ সংবাদমাধ্যম তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাশিয়ার দুটি শহরে বন্যার সাইরেন বেজে উঠলে আরও হাজার হাজার লোককে দ্রুত সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ কমপক্ষে ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় দুটি প্রধান নদী ভয়াবহভাবে ফুলেফেঁপে উঠেছে।
উরাল পর্বতমালা এবং সাইবেরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে দ্রুত বরফ গলে রাশিয়ার কয়েকটি বৃহত্তম নদী প্লাবিত। এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ হাজার ৫০০ বাড়িঘর বন্যার কবলে পড়েছে। আরও কয়েক হাজার বাড়ি ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম ‘উরাল’ নদীটি গিয়ে কাস্পিয়ান নদীতে প্রবাহিত হয়েছে। গত শুক্রবার উরাল পর্বতমালার দক্ষিণে ওরস্ক শহরে একটি বাঁধ ভেঙে প্লাবন হয়। প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ বাসিন্দার শহর ওরেনবুর্গে পানির স্তর বাড়ছেই।
ইরতিশের উপনদী তোবোল-এর তীরবর্তী শহর কুরগানের সাইরেন বেজে লোকজনকে দ্রুত সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। গভর্নর ভাদিম শুমকভ বাসিন্দাদের সতর্কবার্তাটি গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মস্কো থেকে বন্যা পর্যবেক্ষণ করছেন।
পশ্চিম সাইবেরিয়ার প্রধান তেল উৎপাদনকারী অঞ্চল ওরেনবুর্গ, কুরগান এবং টিউমেন নদীতে এত বেশি পানি প্রবাহিত হয় যে, সাথে সাথে সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। বিশ্বের বৃহত্তম হাইড্রোকার্বন অববাহিকা এটি।
প্রায় আট লাখ বাসিন্দার অঞ্চল কুরগানে ড্রোন ফুটেজে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাড়ি এবং অর্থোডক্স গির্জার সোনালি কুপোলাদের বিশাল বিস্তৃত পানির মধ্যে আটকা পড়তে দেখা গেছে। কুরগান অঞ্চলের শহর জেভেরিনোগোলভস্কয়ে তোবোল নদীর পানির স্তর মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে ৭৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, কুরগানে ১৯ হাজারের বেশি মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছে।