ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
ইকুয়েডরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে মেক্সিকো। ইকুয়েডর কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সন্ধ্যায় মেক্সিকান দূতাবাসে জোরপূর্বক প্রবেশ করে দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ গ্লাসকে গ্রেপ্তার করে। এর জেরেই ইকুয়েডরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানায় মেক্সিকো।
ইকুয়েডরের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ গ্লাসকে দুর্নীতির জন্য দুইবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে কুইটোর দূতাবাসে ছিলেন তিনি। তার অভিযোগ, মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস কর্তৃক নির্যাতিত হচ্ছেন।
জর্জ গ্লাসকে গ্রেপ্তার করার আগে পুলিশ জোরপূর্বক কুইটোতে অবস্থিত মেক্সিকো দূতাবাসে প্রবেশ করে বলে মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর এক্স (সাবেক টু্উটার)-এ পোস্ট করেছেন। লোপেজ এই গ্রেপ্তারকে আন্তর্জাতিক আইন এবং মেক্সিকোর সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইকুয়েডরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দেন।
আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘দূতাবাসে জোর করে ঢুকে এবং গ্লাসকে গ্রেপ্তার করা একটি স্বৈরাচারী কাজ এবং মেক্সিকোর আন্তর্জাতিক আইন ও সার্বভৌমত্বের একটি স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তারা গ্লাসকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে এবং ইকুয়েডরকে আহ্বান জানিয়েছে, যাতে সে নিরাপদে দেশের বাইরে বের হয়ে আসতে পারে। কিন্তু ইকুয়েডরের বিশেষ বাহিনী বুলেটপ্রুফ ভেস্ট এবং হেলমেট পরে শুক্রবার রাতে জোরপূর্বক দূতাবাসে প্রবেশ করে এবং গ্লাসকে গ্রেপ্তার করে।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় অভিযানের কিছুক্ষণ আগে একটি বিবৃতিতে জানায়, ‘ইকুয়েডর একটি সার্বভৌম দেশ এবং আমরা কোনো অপরাধীকে মুক্ত থাকতে দেব না।
’ এরপর পৃথক এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তারা গ্লাসকে গ্রেপ্তার করেছে।’
আইনজীবী এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার আদ্রিয়ান পেরেজ সালাজার বলেছেন, “অনেক ইকুয়েডরিয়ানদের কাছে এ ঘটনাকে ‘বিচারের উপহাস’ বলে মনে হয়েছিল। যখন দোষী সাব্যস্ত সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টকে মেক্সিকো রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে। এটা উল্লেখ্য যে, তিনি মেক্সিকান প্রেসিডেন্টের মিত্র।” সালাজার ইকুয়েডরের গুয়াকিল থেকে আলজাজিরাকে আরো বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে দূতাবাসে জোরপূর্বক প্রবেশ করা যায় না।