ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
তাইওয়ানে আঘাত হানার পর এবার চীনে তাণ্ডব চালাচ্ছে টাইফুন কোইনু।
সোমবার (৯ অক্টোবর) রাতে হংকংয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায় কোইনু। টাইফুনের প্রভাবে অতি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যার সঙ্গে লড়াই করছে দেশটি। এক প্রতিবেদনে এনমটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (৯ অক্টোবর) টাইফুন কোইনুর প্রভাবে রাতভর প্রবল বর্ষণের পর এশিয়ার বাণিজ্যিক হাব খ্যাত হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন ও স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে।
হংকং আবহাওয়া দপ্তর আগেই দেশজুড়ে তীব্র বৃষ্টির সতর্কতা জারি করে রেখেছিল। বাস্তবে ঘটেছেও তাই। ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে গোটা হংকং জুড়ে। চলতি মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করল হংকং। হংকংয়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের এ সতর্কতাকে কালো সতর্কতা বলা হয়।
স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এদিন হংকং জুড়ে সারাদিন প্রায় ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে কোনো কোনো জায়গায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৩০০ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়েছে বলে জানা যায়।
হংকং অবজারভেটরি বলেছে, গত সপ্তাহে টাইফুন কোইনুর আঘাতে তাইওয়ানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এটি চীনের গুয়াংডং প্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় একটি তীব্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ে রূপ নিয়ে গতকালের মধ্যে দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু ভয়াবহ বন্যা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অবজারভেটরি সবাইকে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
নগরীর তৃতীয়-সর্বোচ্চ ঝড় সতর্কীকরণ সংকেতটি স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত বহাল থাকবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঝড়ের প্রভাবে হংকংয়ের সমস্ত স্কুল-কলেজ ও অফিস বন্ধ করে করে দেয়া হয়েছে। বহুক্ষণ বন্ধ থাকে বিমান পরিষেবা। ফলে বিমানবন্দরে বিপুল ভিড় চোখে পরে। চীনের উপর দিয়ে এখন ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বইছে টাইফুনটি। সেখানেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
এ বিষয়ে চীনের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেখানে লেভেল থ্রি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৩৫ হাজার জেলেকে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।