পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪

সিকিম বিপর্যয়ের পেছনে নেপালের ভূমিকম্প!

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমের লোনাক হ্রদে মেঘভাঙা (ক্লাউড বার্স্ট) বৃষ্টির কারণে উপচে পরে হ্রদের পানি। ফলে হুট করে তিস্তায় পানির স্তর বেড়ে যায় ১৫-২০ ফুট। আর পানির স্তর বেড়ে তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যার কারণে ভেসে গেছে আশেপাশের এলাকা।

বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে পড়েছে ১৪টি সেতু, লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশ। একের পর এক বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে পানির স্রোত।

উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি, বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর তাতেই উঠে আসছে অন্য এক তত্ত্ব। কিছু কিছু বিজ্ঞানীদের মতে, সিকিমের এই বিপর্যয়ের নেপথ্যে থাকতে পারে মঙ্গলবারের নেপালের ভূমিকম্প।

ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং আনন্দবাজার এই তথ্য জানিয়েছে।

গত মঙ্গলবার ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল নেপালে। ৫৪ মিনিটের ব্যবধানে পর পর চার বার কেঁপে উঠেছিল নেপাল। কম্পনের উৎসস্থল ছিল উত্তরাখণ্ডে জোশীমঠের ২০৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং উত্তরপ্রদেশের লাখনাউয়ের ২৮৪ কিলোমিটার উত্তরে ভূপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীরে।

ভূমিকম্প অনুভব করা গিয়েছিলো দিল্লিসহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকেও। আর এই ভূমিকম্পই সিকিমে আকস্মিক বন্যার কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন ওয়াটার কমিশনের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, আগে থেকেই হ্রদটি দুর্বল অবস্থায় ছিল। যে কোনও সময় ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল। সুতরাং ভূমিকম্পের ফলে হ্রদটি ফেটে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।

ইসরোর আওতাধীন, ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার, দক্ষিণ লোনাক হ্রদের তিনটি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করেছে। ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ১৭ সেপ্টেম্বর যেখানে হ্রদটিতে আনুমানিক ১৬২.৭ হেক্টর আয়তনের পানি ছিল, বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬০.৩ হেক্টরে। অর্থাৎ, দক্ষিণ লোনাক হ্রদের আয়তন ১০০ হেক্টরেরও বেশি কমেছে। এই গায়েব হয়ে যাওয়া ১০০ হেক্টর পানিই তিস্তা নদীর অববাহিকায় আকস্মিক বন্যার সূত্রপাত করেছে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এমন তথ্যই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ওয়াটার কমিশনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। তাঁর দাবি, শুধু মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণেই এত বড় বিপর্যয় ঘটেছে, তা নির্ধারণ করা খুবই কঠিন। তবে একটি বিশেষজ্ঞ দল ওই এলাকাটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁদের বিশ্বাস, মেঘভাঙা বৃষ্টি শুধু নয়, নেপালের ভূমিকম্পও এই বিপর্যয়ের নেপথ্য কারণ হতে পারে।

সিকিমে আকস্মিক বন্যার ফলে ভয়াবহ এই বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৪ জন বেসামরিক লোক মারা গেছে এবং ২২ সেনা সদস্যসহ ১০২ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।

তথ্যসূত্রঃদেশ রুপান্তর

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ