ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। উত্তরায় নিজ বাসায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হিমুকে উত্তররার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হিমুর মোবাইল ফোনসহ নিখোঁজ রয়েছেন তার প্রেমিক মিহির।
অভিনেত্রীর মৃত্যুতে তারকারাদের শোক বার্তায় ভরে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া। নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘‘প্রিয় হুমায়রা হিমু যদিও তোমার সাথে অনেকদিন কথা হয়নি,তাও এক বছর হলো। কিন্তু কাজটা তুমি একদম ভালো করোনি। ভীষন রাগ হচ্ছে। যত যাই হোক, জীবন একটাই আর জীবন সুন্দর। বেঁচে থাকাটা অনেক আনন্দের। আসলেই তুমি একটা অন্যায় কাজ করেছ নিজের উপর। তুমি পরিবারের কথাও ভাবলে না? একা একা চলে গেলে?? নিজে নিজেই?? এটা কেন করলে?? তারপরও পরপারে ভালো থেকো এই প্রার্থনা সব সময়।’’
হুমাইরা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। হিমু ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন এবং এ কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্য দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন। তার মামা মূর্শেদ নাটকটিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
অসংখ্য টিভি নাটকে দেখা গেছে হুমায়রা হিমুকে। এর মধ্যে ডিবি, সোনাঘাট, চেয়ারম্যান বাড়ি, বাটিঘর, শোনে না সে শোনে না অন্যতম। আমার বন্ধু রাশেদ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে হিমুর বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার।
২০০৫ সালে তিনি টেলিভিশন মিডিয়াতে এবং নাটকে যুক্ত হন মো: জামালউদ্দিনের নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনস্যাম্বলে। ২০০৬-এ হুমাইরা হিমুর প্রথম নাটক ‘ছায়াবীথি’ প্রচারিত হয়। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামের একটি সিরিয়াল নাটকেও অভিনয় করেন। এরপরে তিনি ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ সহ অনেক জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করতে থাকেন। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।