ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
দেশে ডলার সংকট কাটাতে প্রবাসী বাংলাদেশী, দেশী-বিদেশী এবং বিদেশী প্রতিষ্ঠানদের ডলার বা পাউন্ডসহ ফরেন কারেন্সিতে আমানত রাখার সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যেখানে আমানতের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রায় সর্বোচ্চ প্রায় ৯ শতাংশ সুদ পাওয়া যাবে।
২৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেইন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট (এফইপিডি) থেকে জারি করা এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকের অফশোর ইউনিটের ফরেইন কারেন্সি (এফসি) অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এসব ডিপোজিট সংগ্রহ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। মুদ্রাভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে মার্কআপ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করতে হবে। অর্থাৎ, ডলার ডিপোজিটের ক্ষেত্রে বেঞ্চমার্ক রেট সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (এসওএফআর) এবং পাউন্ড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে স্টার্লিং ওভারনাইট ইনডেক্স অ্যাভারেজ (এসওএনআইএ) বেঞ্চমার্ক রেট হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘এই উদ্যোগটি আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। গ্রাহকরা বাংলাদেশী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা রাখলে বিদেশী ব্যাংকের তুলনায় বেশি সুবিধা পাবেন। আরেকটি সুবিধা হলো, আমানতকারীরা তাদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী আমানত এবং জমাকৃত মুনাফা বিদেশে পাঠাতে পারবেন। তবে, এ ধরনের ফরেন কারেন্সি একাউন্ট খুলতে বিদেশ থেকে বৈধভাবে রেমিট্যান্স দেশে পাঠাতে হবে। দেশে পাঠানো এসব ফরেন কারেন্সি সরাসরি জমা হবে ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্টে। এরপর তিন মাস থেকে ১ বছর মেয়াদি আমানতের ওপর রেফারেন্স রেট + ১.৫০%, ১ থেকে ৩ বছরের জন্য রেফারেন্স রেট + ২.২৫%, ৩ থেকে ৫ বছরের জন্য রেফারেন্স রেট + ৩.২৫% হারে সুদ পাবে গ্রাহকরা।
বর্তমানে ডলারের বেঞ্চমার্ক রেট হিসেবে ব্যবহৃত এসওএফআর রয়েছে ৫.৩৫%। সে হিসাবে কোনো গ্রাহক ৩ বছর মেয়াদে ডিপোজিট করলে সুদ পাবে প্রায় ৮.৬০%। গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট কারেন্সিতে সুদ পেমেন্ট করা হবে। নতুন সুবিধা অনুযায়ী কোনো প্রবাসী বাংলাদেশী চাইলে তার নিজের অথবা পরিবারের কারও নামে এফসি অ্যাকাউন্ট খুলে ফরেন কারেন্সি জমা করতে পারবে। মেয়াদ শেষে সুদসহ জমা থাকা ফরেন কারেন্সি দেশে ব্যবহার করা যাবে বা চাইলে বিদেশেও নিয়ে যাওয়া যাবে।