পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে এর সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।

তিনি জানান, ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভারতের ন্যাশনাল করপোরেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে এ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। সরকারই প্রতিষ্ঠানটিকে ঠিক করে দিয়েছে।
এদিকে তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ তিনটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৭৯ কোটি ৮৭ লাখ ৬৭ হাজার ১৫১ টাকা।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, আশুলিয়া, মাধবদী ও চান্দিনায় ১০ (+১০%) মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক ৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং ট্যারিফ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্পন্সর কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে সরকারের ১৫ বছর চুক্তির মেয়াদ ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট তারিখ উত্তীর্ণ হয়।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে আরও পাঁচ বছর বৃদ্ধি করা হয় যার মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট উত্তীর্ণ হয়। নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে দ্বিতীয়বার আরও পাঁচ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য বাপবিবো সুপারিশ করে। বাপবিবো এবং নেগোসিয়েশন কমিটি কর্তৃক স্পন্সর কোম্পানির সঙ্গে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত চুক্তির শর্ত চূড়ান্ত করে ৩টি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর থেকে পাঁচ বছর বৃদ্ধির জন্য সামিট পাওয়ার লিমিডেটের সঙ্গে ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৫.৮২ টাকা হিসেবে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে সংশোধিত চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, বর্ধিত মেয়াদে (পাঁচ বছরে) স্পন্সর কোম্পানিকে ৫৪৬ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। বর্ণিত প্রস্তাবে ট্যারিফ আগের তুলনায় হ্রাস পাওয়ায় বর্ধিত মেয়াদে প্রায় ৬.৮১ কোটি টাকা ব্যয় সাশ্রয় হবে।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো, ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পের আওতায় সিপিসি ঠিকাদারের সঙ্গে পঞ্চম সাপ্লিমেন্ট চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ট্যাংক ফার্ম ও গভীর সমুদ্রে একটি সিঙ্গেল পয়েন্ট মুংরিং এবং ১১০ কিলোমিটার দুটি ডাবল পাইপলাইন স্থাপনের জন্য চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ব্যুরোর (সিপিপিবি) সঙ্গে চারটি সাপ্লিমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে সিপিপি কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদন ও পিপিসির সুপারিশ মোতাবেক টেস্টিং ও কমিশনিং কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে যথাযথ শক্তির টাগবোট সংগ্রহ, পাইলটেজ এবং আনুষঙ্গিক সার্ভিস অন্তর্ভুক্তির জন্য চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কো. লিমিটেডের সঙ্গে পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি এগ্রিমেন্ট বাবদ ৫.৭০ মিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬২ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার টাকায় চুক্তির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

এ ছাড়া ‘খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ

(তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউডি-১-এর পূর্ত কাজের তৃতীয় ভ্যারিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউডি-১১-এর নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে ভারতের মেসার্স ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ২৭৮ কোটি ৬৫ লাখ ৫২ হাজার ৯০৭ টাকা। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় কিছু আইটেম হ্রাস-বৃদ্ধি হওয়ায় তৃতীয় ভ্যারিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৭০ কোটি ২৩ লাখ ৯২ হাজার ১৫১ টাকা ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে।

তথ্যসূত্রঃসময়ের আলো

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ