পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

বিআরটিসির জন্য ৩৪০এসি বাস কিনবে সরকার

একনেকে ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) জন্য ৩৪০টি এক তলা এসি বাস কিনবে সরকার। এর মধ্যে নগরের জন্য কেনা হবে ১৪০টি বাস এবং আন্তঃনগরের জন্য কেনা হবে ২০০টি বাস। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৩০৪ কোটি টাকা এবং কোরিয়া দেবে ৮২৮ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই প্রকল্পসহ আরও ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভোটের রাজনীতি করে ঠিকই, তবে এই যে বড় বড় প্রকল্প এখন উদ্বোধন করছে সরকার, সেটি নির্বাচনের আগে বাহবা পাওয়ার জন্য নয়, এসব প্রকল্প সাধারণ মানুষের তুষ্টির জন্য করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী মাসে সরকার মেট্রোরেলও মতিঝিল পর্যন্ত নেবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘চাঁদপুর শহর ও এর আশপাশের ৩০ দশমিক ১২ একর এলাকায় স্থাপন করা হচ্ছে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৭০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এ জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ, ১০টি আবাসিক ভবন তৈরি, ১১টি অনাবাসিক ভবন, লিফট, ১২ হাজার ৯২৭টি মেডিকেল যন্ত্রপাতি এবং তিনটি মোটর গাড়ি কেনা হবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। চলতি বছর শুরু হয়ে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর।’

এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্বাচনি ভাবনা থেকে নয়। তারপরও ভোটের আগে যদি এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হয়, তা হলে জনগণ সে হিসেবে ভোট দেবে। এ বছরের বাজেটও নির্বাচনকে কেন্দ্র করা হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, পরিসংখ্যান তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোর বিভাগের সদস্য (সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. এমদাদ উল্লা মিয়ান এবং কৃষি পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) একেএম ফজলুল হক।

এদিকে প্রায় ১২ হাজার ৯৫১ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত ১৭টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১০ হাজার ২৬৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ২ হাজার ৬৭০ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো-সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দুই প্রকল্প যথাক্রমে ‘নড়াইল-কালিয়া জেলা মহাসড়কের ২১তম কিলোমিটারে কালিয়া নামক স্থানে নবগঙ্গা নদীর ওপর কালিয়া সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প এবং ‘বিআরটিসির জন্য এক তলা এসি বাস সংগ্রহ’ প্রকল্প। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘উত্তরা এলাকায় পয়োশোধনাগার নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ’ প্রকল্প, ‘বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্প (এসডিএসপি)’ প্রকল্প এবং ‘কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলাধীন গড়াই নদীর ওপর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘ধীরাশ্রম আইসিডি নির্মাণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণসহ পুবাইল ধীরাশ্রম রেল লিংক নির্মাণ’ প্রকল্প; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে আসা দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ’ প্রকল্প; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘সোনাগাজী ৫০ মেগাওয়াট (সংশোধিত ৭৫ মেগাওয়াট) সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্প।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে-‘চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সিএমইউ) স্থাপন’ প্রকল্প, ‘চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন’ প্রকল্প এবং ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন’ প্রকল্প।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে-‘চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘বাংলাদেশের চর এলাকায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ প্রকল্প; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন’ প্রকল্প; ভূমি মন্ত্রণালয়ের ‘গুচ্ছগ্রাম দ্বিতীয় পর্যায় (ক্লাইমেট ভিকটিমস রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্ট’ প্রকল্প এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘ক্লাইমেট রেজিলেন্স লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারশেড ম্যানেজমেন্ট ইন দ্য চিটাগাং হিল ট্র্যাকস’ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

তথ্যসূত্রঃসময়ের আলো

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ