পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

বস্তায় লিখতে হবে চালের জাত-মূল্য না মানলে দণ্ড

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
চালের দাম সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে বস্তায় মিলগেট পর্যায়ের মূল্য ও ধান বা চালের জাত উল্লেখসহ ছয়টি তথ্য লেখা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানা করা হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল এ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে, যা কার্যকর হবে আগামী ১৪ এপ্রিল।

চাল উৎপাদনকারী মিলারদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিলগেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে বলে পরিপত্রে বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, সম্প্রতি দেশে চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা অকস্মাৎ বাড়লে মিলার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা একে অন্যকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধান ও চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থা উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজারমূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এবং ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাত হয় তা নিশ্চিতে এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে ছয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় আরো জানায়, চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকদের (অটো বা হাসকিং) সরবরাহকৃত সব ধরনের চালের বস্তা বা প্যাকেটের (৫০, ২৫, ১০, ৫, ২ ও ১ কেজি ইত্যাদি) ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি মুদ্রিত করতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যও উল্লেখ করতে পারবে। তবে বস্তার ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি কালি দিয়ে হাতে লেখা যাবে না। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এ পরিপত্রের নির্দেশ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে হবে। এ পরিপত্রের আলোকে সব জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য পরিদর্শকরা পরিদর্শনকালে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।

তথ্যসূত্রঃবণিক বার্তা

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ