ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ-ব্রিটেন দুইপক্ষের মধ্যে উন্নত অর্থনৈতিক সেবার সম্পর্ক, নিরাপত্তা এবং অভিবাসন ইস্যূতে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী এনি-মারিয়া ট্রেভেলিয়ান মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। এই সফরে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে ১২ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড মানবিক সহায়তা হিসেবে দেওয়ার ঘোষণা দিবেন তিনি।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী এনি-মারিয়া ট্রেভেলিয়ানের ঢাকা সফরে দুইপক্ষের মধ্যে একাধিক ইস্যূতে আলোচনা হবে। যার মধ্যে অর্থনীতি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল এবং রোহিঙ্গা সঙ্কট অন্যতম। এসব ইস্যূতে দেশটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে চায়। এই মুহুর্তে ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক উন্নতিতে বিশেষ সহযোগিতা করছে। এই বিষয়ে এই সফরে তার সঙ্গে বিশদ আলোচনা হবে।
ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশন জানিয়েছে, সব ঠিক থাকলে মঙ্গলবার সকালে ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী এনি-মারিয়া ট্রেভেলিয়ানের ঢাকায় থাকার কথা রয়েছে। এই নিয়ে তিনি দুইবার ঢাকা সফর করছেন। এই সফরে তিনি দুইপক্ষের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে কাজ করবেন। এই সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করবেন। এসব বৈঠকে অভিবাসন, বাণিজ্য ও অথনৈতিক সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা সঙ্কট গুরুত্ব পাবে।
মন্ত্রী এনি-মারিয়া ট্রেভেলিয়ানে ঢাকা সফরে বাণিজ্য নীতি বিষয়ক নতুন প্রকল্প ঘোষণা করবেন। যেখানে অর্থনৈতিক উন্নতিতে এবং সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে কারিগরি সহযোগিতা দিবে। এই প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা এবং আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি (স্বল্পেন্নত দেশের তালিকা) মসৃণভাবে উন্নতিতে সহায়তা করবে।
এই সফরে মন্ত্রী এনি-মারিয়া ট্রেভেলিয়ান ঢাকার ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মী, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার গুরুত্ব পাবে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে টেকসই উন্নতি এবং প্রগতি সম্ভব না মন্ত্রী এনি-মারিয়া ট্রেভেলিয়ান সেই গুরুত্ব তুলে ধরবেন। জলবায়ু সহযোগিতার আওতায় এই সফরে তিনি তরুণ ও ঝুকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য বিশেষ ঘোষণা দিবেন।
যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী এনি-মারিয়া ট্রেভেলিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে আবারো সফরে আসতে পেরে অঅমি আনন্দিত। আমাদের দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো জোরদার এই সফরে গুরুত্ব পাবে।
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রী এনি-মারিয়া ট্রেভেলিয়ানকে ঢাকায় স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। আমাদের দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগেরই বন্ধনই দুইপক্ষের সম্পর্ককে শক্তিশালি করেছে। জলবায়ু সঙ্কটকে মোকাবিলা, রোহিঙ্গা সঙ্কটে সহযোগিতাসহ অন্যান্য ইস্যূতে যে সকল সমস্যা রয়েছে তা যৌথভাবে মোকাবিলার মাধ্যমে সমাধান করতে আমরা কাজ করছি। যা ভবিষ্যতে দুই দেশের বন্ধনকে আরো শক্তিশালি করবে।