পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ফিলিস্তিনে ঈদ

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সঙ্গে ফিলিস্তিনেও আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) উদযাপন করা হচ্ছে মুসলিমদের অন্যতম বৃহৎ উৎসব ঈদুল ফিতর। রাফাহতে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি ড্রোন হামলার মধ্যেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। আলজাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ফিলিস্তিনিরা ধ্বংসপ্রাপ্ত রাফাহ মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করছেন।

ঈদ বিশ্বের মুসলিমদের জন্য খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে এলেও, ইসরায়েলি বর্বরতায় ফিলিস্তিনের মৃত্যু উপত্যকা গাজার পরিস্থিতি ভিন্ন। মৃত্যু, বেদনা এবং ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ঈদ পালন করছে তারা।
এদিকে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ফজরের নামাজের জন্য জড়ো হয়েছিল। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিরা বুধবার গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের আল-ফারুক মসজিদের ধ্বংসাবশেষে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছে।

মসজিদের ধ্বংসাবশেষে ফিলিস্তিনিদের ঈদের নামাজের ছবিও সামনে এসেছে।
নিজেদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, দুঃখ, আর্তনাদ ও শোকের মধ্যেও ফিলিস্তিনিরা একত্রিত হচ্ছেন (এবং) একে অপরকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন গাজাবাসী। গাজার রাফাহতে ঈদের দিনও ইসরায়েলি ড্রোন আকাশে চক্কর দিচ্ছে। এর লক্ষ্য শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের এটিই মনে করিয়ে দেওয়া যে, আনন্দ ও উদযাপনের এমন দিনেও তাদের জন্য নিরাপত্তা বলে কিছু নেই।

তবুও, ফিলিস্তিনিরা আজ রাফাহতে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।
টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে হামাস বলেছে, পশ্চিম তীর, জেরুজালেম, অধিকৃত (ঐতিহাসিক) ফিলিস্তিনে এবং সারা বিশ্বের বাস্তুচ্যুতি শিবিরে থাকা জনগণ আমাদের সঙ্গে এবং গাজার জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে। বিবৃতিতে হামাস বলে, ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে আমরা আরব ও ইসলামিক দেশগুলোকে অভিনন্দন জানাই। আমরা আশা করি, ফিলিস্তিনিদের জন্য এবং ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসানের লক্ষ্যে প্রকৃত সমর্থন বাড়তে থাকবে।

সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়।

এতে দেশটিতে এক হাজার ১৩৯ জনের প্রাণ যায়। হামাস আড়াইশ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে। জবাবে ইসরায়েল হামাসশাসিত গাজায় হামলা শুরু করে। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৩৬০ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৭৫ হাজার ৯৯৩ জন।
রমজানের সমাপ্তি উপলক্ষে এবং ঈদুল ফিতরকে স্বাগত জানাতে গাজায় ফিলিস্তিনিরা রাস্তায় নেমে তাকবীর পাঠ করেন। ইসরায়েলি হামলায় বাস্তুচ্যুত, স্বজন হারানো ফিলিস্তিনিদের অনেকে ঈদ ঘিরে টুকটাক কেনাকাটা করেছেন। ঈদের আগে হাজারো ফিলিস্তিনি গাজার কিছু অংশে বাজারগুলোতে ভিড় জমান।

ঈদুল ফিতরে রাফার শিশুদের কিছুটা আনন্দ চেষ্টা করছেন ফিলিস্তিনি সংগীতশিল্পীরা। ফিলিস্তিনি সংগীতশিল্পী মুসাব আল ঘামরি বলেন, ঈদের দিনটি আমরা হারাতে দিতে পারি না। বোমাবর্ষণ, ভয়, মৃত্যুর মধ্যেও ঈদের উদযাপনে শিশুদের আনন্দ দিতে চাই। ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে হামাস এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের সামর্থ্য ও অবিচলতার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছে।

এদিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ স্বীকার করেন, গাজায় দুর্ভোগের কারণে অনেক অস্ট্রেলীয় মুসলিমের ঈদ দুঃখে কাটবে। তিনি বলেন, এটি অনেকের জন্য কষ্টদায়ক এবং আতঙ্কের সময়। আমি আশা করি, আপনারা পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে কিছু সান্ত্বনা এবং শক্তি এবং বিশ্বাসের অভিব্যক্তি খুঁজে পাবেন।

তথ্যসূত্রঃকালের কণ্ঠ

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ