ছয় দফা নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন দু’দেশের মানুষই যুদ্ধের শেষ না দেখে ময়দান ছাড়তে চায় না। তবে এ পর্যায়ে এসে ইউক্রেনের মাথার ওপর থেকে পশ্চিমাদের আশীর্বাদের হাত সরে যাওয়ায় বিপদে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র থেকে খালি হাতে ফেরেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এরপর থেকে নতুন মোড় নিয়েছে প্রায় ২ বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দু’দেশের যুদ্ধে এতদিন ব্যাটেলফিল্ড উত্তপ্ত থাকলেও এবার এর উত্তাপ ছড়িয়েছে মার্কিন কংগ্রেসেও।
এ পর্যায়ে এসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি কী হতে পারে? এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। সেখানে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি হতে পারে তিন ধরণের।
প্রথমত, ইউক্রেনকে পুরোপুরি দখলে নিয়ে যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারে রাশিয়া। দ্বিতীয়ত, ক্রিমিয়াকে আবারো দখলে নিয়ে ইউক্রেনের জয়। তৃতীয়ত, দু’পক্ষের রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে যুদ্ধের স্থিতিশীল অবস্থা।
যুদ্ধের শুরুতে জয়ের আগ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর ছিল ইউক্রেন। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষও চায় এর শেষ দেখে ছাড়তে। তবে পশ্চিমারা যখন কিয়েভের জন্য আর্থিক ও সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে, তখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে আসছে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির।
যদি ফের যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলো আধুনিক সমরাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দেয়া শুরু করে, তাহলেই কেবল রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে দেশটি।
একই পরিস্থিতি রাশিয়ারও। রুশ নাগরিকদেরও একটাই চাওয়া, ইউক্রেনকে পরাজিত করা। সেজন্য ইউক্রেন দখলে মরিয়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও এ যুদ্ধে তাদেরও ক্ষয়ক্ষতি কম নয়। যুদ্ধের ময়দানে ইতোমধ্যে হারিয়েছেন লাখের বেশি সেনা।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অক্টোবরের শেষ হিসেব অনুযায়ী, রাশিয়ার ১ লাখ ৯০ হাজার সেনার অনেকেই স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ এবং অনেকেই মারা গেছেন। এরপরও রুশ ভূখণ্ডে এর প্রতিবাদে বড় ধরনের কোন বিক্ষোভ হতে দেখা যায়নি । তীব্র জাতীয়তাবাদই যার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।