ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে, দেশ অন্ধকারের পতিত হয়েছে। আমাদের সৌভাগ্য প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আগে এক কিলোমিটার রাস্তা করার জন্য বিদেশীদের কাছে ধর্ণা দিতে হতো। এখন সে অবস্থা নেই। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র বাংলাদেশ বদলে গেছে। পদ্মা সেতু হয়েছে। ঢাকা শহরে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হয়েছে। আগামীতে পাতাল রেল নির্মাণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার কেরানীগঞ্জে হাসনাবাদে যাত্রীবাহী এ রো রো ফেরীর যাত্রা উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এবার যাব বাড়ি, সঙ্গে যাবে গাড়ি’- এ স্লোগানকে ধারণ করে শুরু হচ্ছে ঢাকা-ভোলা রুটে যানবাহনসহ যাত্রীবাহী রো রো ফেরির যাত্রা। ‘কার্নিভাল ক্রুজ ও কার্নিভাল ওয়ে’’ এ দুটি রো রো ফেরী নিয়ে যাত্রা শুরু হচ্ছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা ভোলা (ইলিশা রুটে) জাহাজ দুটি চলাচল করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্বীপজেলা ভোলাবাসীর জন্য আজ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। যানবাহনসহ যাত্রীবাহী রো রো ফেরি চালু হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপকূলীয় মানুষের জন্য সবসময় চিন্তা করেন। রাঙ্গাবালী চরমোনতাজ থেকে ঢাকা লঞ্চ চালু করেছেন। সন্ধীপে জেটি তৈরি করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী জাহাজ হাতিয়া, সন্ধীপ রুটে চালু করেছেন। যাত্রী পারাপারে ভূমিকা রাখছে। হাতিয়া, সন্ধীপ, কুতুবদিয়া, টেকনাফের সাবরাং পর্যন্ত নৌ যোগাযোগ সহজতর করার লক্ষ্যে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এতে করে উপকূলীয় অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হবে। দুর্ভোগ শূণ্যতে চলে আসবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মতিউর রহমান, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ইকবাল হোসেন, কার্ণিভাল ক্রুজ লাইন লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ মাসুম খান প্রমুখ।
কার্ণিভাল ক্রুজ লাইন লিমিটেড নতুন এ জাহাজটির পরিচালনায় রয়েছে। যানবাহনসহ যাত্রীবাহী দুটি রো রো ফেরি ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-ভোলা (ইলিশা) রুটে চলাচল করবে। ঢাকা কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টায় ছেড়ে যাবে। ভোলার ইলিশা ঘাটে দুপুর ২টায় পৌঁছবে। ইলিশা থেকে রাত ৯টায় ছাড়বে। ফেরিতে সিট ক্যাপাসিটি রয়েছে ৩৩০ জনের। এর মধ্যে কেবিন ৬০টি, চেয়ার ১০০টি। ৩৫টি গাড়ির ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।