ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
মস্কোয় কনসার্ট হলে হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, লাতিন আমেরিকা ও ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘মস্কোয় কনসার্ট হলে হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনার সম্ভব সর্বোচ্চ কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘপ্রধান।’ প্রসঙ্গত নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া বিষয়ে রুশ কর্তৃপক্ষের ঘোষণার আগে এ বিবৃতি দেওয়া হয়।
গুতেরেস এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের শোকাহত পরিবার, রাশিয়ার জনগণ ও সরকারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
হামলাকে জঘন্য কর্মকাণ্ড বলে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। তারা বলেছে, পরিষদের সদস্যরা এ নিন্দনীয় সন্ত্রাসী কাজে জড়িত অপরাধী, সংগঠক, অর্থের যোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের জবাবদিহিতা ও বিচারের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ–ক্যানেল ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার সরকার ও জনগণের প্রতি আমাদের গভীর আন্তরিক সমবেদনা।
এদিকে এলিসি প্রাসাদের এক বিবৃতিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ক্রোকাস সিটি হলে ইসলামিক স্টেটের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন তিনি। এ ঘটনার ভুক্তভোগী ব্যক্তি, তাদের স্বজন ও রুশ জনগণের প্রতি ফ্রান্স তার সংহতি প্রকাশ করছে।
হামলার নিন্দা জানিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হামলার নেপথ্যে কারা, তা দ্রুত স্পষ্ট করতে হবে। হামলার শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা।
এ হামলাকে জঘন্য সন্ত্রাসী কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। তিনি বলেন, মস্কোয় নিরপরাধ বেসামরিক লোকজনের ওপর চালানো ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য।
এদিকে ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল বলেন, মস্কোর প্রদর্শনীকেন্দ্র ক্রোকাস সিটি হলে আজ (শুক্রবার) বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো সশস্ত্র হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও রুশ সরকারের প্রতি সংহতি জানান তিনি।
ইসলামিক স্টেটের আফগানিস্তান শাখা ইসলামিক স্টেট খোরসান (আইএসআএস-কে) হামলার দায় স্বীকার করেছে।
রাশিয়া হামলার সঙ্গে কিয়েভের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত দিলেও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হামলায় ইউক্রেনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে হামলার জেরে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন জোরদার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে ঘটনার বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ক্রেমলিন।