ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
‘বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সি কুকুর’ ববি’র খেতাব স্থগিত করে তদন্ত শুরু করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। গত বছর ববির ৩১তম জন্মদিন পালন করা হয়েছিল। এরপর অক্টোবরে কুকুরটি মারা যায়।
কিন্তু এখন বিশ্বের সবচেয়ে বুড়ো কুকুরের তকমা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ববির মৃত্যুর পর তার বয়স নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন পশুচিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। তারপরই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক কুকুর ও সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত কুকুরের খেতাবের আবেদনও স্থায়ীভাবে বন্ধ রেখেছে বলে মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এপিকে জানিয়েছে গিনেস কর্তৃপক্ষ।
ববি যে জাতের কুকুর, সেগুলো সচরাচর ১২ থেকে ১৪ বছর বাঁচে।
গিনেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিছু প্রাণীচিকিৎসক কুকুরটির বয়স নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এছাড়া কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক ও অন্য পেশার মানুষদের ববির বয়স নিয়ে সন্দেহ করার বিষয়কে আমলে নিয়েছে।
সন্দেহকারীরা বলছেন, ববির বয়সের তথ্য স্রেফ এটির মালিকের কথার ওপর ভরসা করে মেনে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া একজন ব্যক্তি দেখিয়েছেন, কুকুরটির অনলাইনে পাওয়া নব্বইয়ের দশকের কিছু ছবিতে এটির থাবার রং ভিন্ন দেখা গেছে।
তাছাড়া জিনগত পরীক্ষার মাধ্যমেও ববির প্রকৃত বয়স নির্ণয় করা যায়নি।
তবে ববির মালিক লিওনেল কস্তা বলছেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। ১৯৯২ সালে কস্তাদের কাঠ রাখার ঘরে জন্মের পর থেকে ববি তাদের সঙ্গে পর্তুগালের একটি গ্রামে আমৃত্যু বাস করেছিল।
ববির এত বেশি বয়স বাঁচার কারণ হিসেবে তার মানুষের খাদ্য খাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। পশু বিশেজ্ঞরা পোষা প্রাণীদের মানুষের খাদ্য না খাওয়াতেই সচরাচর পরামর্শ দেন।
এ কারণেই পশুচিকিৎসকেরা ববির খেতাবের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন বলে দাবি লিওনেল কস্তার।
গিনেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ববির বয়স নিয়ে তাদের তদন্ত শেষ হতে তিন মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।