পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

পণ্য আমদানিতে বাড়ছে পায়রা বন্দরের ব্যবহার

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী গভীর সমুদ্র বন্দর হওয়ায় পায়রা বন্দরটি আমদানিকারকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। দিনের পর দিন দেশের শীর্ষ পর্যায়ের শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল আমদানিতে ব্যস্ততা বাড়ছে বন্দরটির।

২০২২ সালের পহেলা আগস্টে বেলজিয়াম ভিত্তিক কোম্পানির সহায়তায় বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে থেকে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের জেটি পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২০০ মিটার প্রস্থ আর ১০ দশমিক পাঁচ মিটার গভীরতায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

কাজ শেষে চলতি বছরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে চ্যানেলটি বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। এই চ্যানেলটি দেশের গভীরতম ও আধুনিক সুবিধা সম্বলিত হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে দেশী বিদেশি পণ্যবাহী জাহাজের সংখ্যা।

পদ্মা সেতু চালুর পর সড়ক পথে বন্দরের মাধ্যমে দ্রুত পণ্য পরিবহনের সুযোগ এবং নৌপথে কম সময় ও অল্প খরচে পণ্য পরিবহনের সুযোগ তৈরি হয়। লাইটারেজ জাহাজ চলাচলে ৫ মিটার গভীরতাকে প্রথম শ্রেণির হিসেবে বিবেচনা করায় এ বন্দর থেকে জাহাজ চলাচলেও নেই কোন প্রতিবন্ধকতা। তাই দিনের পর দিন বাড়ছে এ বন্দরে সাথে লাইটারেজ জাহাজ চলাচলের সংখ্যাও।

payra%20port%20(2)

রাবনাবাদ চ্যানেলে আমদানিকৃত জাহাজের নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করায় দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কোম্পানিগুলো এ বন্দর দিয়ে বাড়িয়েছে আমদানি।

সম্প্রতি ‘এমভি মেঘনা হারমনি’ জাহাজে আসে ৪৩ হাজার ৭০০ টন ক্লিংকার এবং ১০ হাজার ১০০ টন চুনাপাথর। যা সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল। নির্বিঘ্নে লাইটারেজ জাহাজে এসব কাঁচামাল খালাস করা হয়।

বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে এক সঙ্গে ১৫ থেকে ২০টি মাদার ভেসেল এ্যাংকোরেজ অবস্থান করার পাশাপশি খালাস করার সুযোগ রয়েছে। তাই পণ্য পরিবহনে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই বলে দাবি করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক করিডোর বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে।

২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ২৬৪টি জাহাজে সরকার রাজস্ব আয় করে ১ হাজার ৬৭ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।

তথ্যসূত্রঃএখন টিভি অনলাইন

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ