পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

চাহিদা কমে আসছে, ডলারের দাম আরও কমবে: বাংলাদেশ ব্যাংক

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
গত বুধবার প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা করে কমিয়ে ডলারের দাম আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাফেদা ও এবিবি।

আমদানি কমে যাওয়ায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা কমে গেছে উল্লেখ বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সামনে ডলারের দাম কমতে পারে।

ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি), তার প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের আমদানি কমে যাওয়ায় ডলার চাহিদা কমে গেছে, ফলে বুধবার ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইন্টারেস্ট কমানোর চিন্তা করছে। আমাদের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টের ফরেন দায় কমে আসলে ডলারের দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র।

তিনি বলেন, “গত কয়েক মাসে আমরা চাহিদাটা যথাযথভাবে মনিটরিং করছি। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় আমদানি ও সেবা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। আমাদের দেশের কারেন্ট অ্যাকউন্টে ব্যালেন্স সারপ্লাস রয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট নেগেটিভ থাকলেও স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কারণ আমাদের ইম্পোর্ট কমে আসছে অন্যদিকে ফরেন লোন পরিশোধও কমে আসছে।”

“ঋণ পরিশোধের পরিমাণ কমে যাওয়ায় আমাদের ডলারের চাহিদা কমবে। বেশিরভাগ ঋণপত্র (এলসি) এখন দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে,” বলেন তিনি।

মুখপাত্র বলেন, “বৈদেশিক মুদ্রার দাম নির্ধারণ হয় বাজারের চাহিদা ও যোগানের উপর ভিত্তি করে। বিশ্বব্যাপী মুদ্রার সুদের হার কমানোর যে সাম্প্রতিক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তা বৈদেশিক মুদ্রার দাম কমানোয় অবদান রাখতে পারে। এছাড়া, বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের ক্রমশ স্বাভাবিকীকরণ বৈদেশিক মুদ্রার দামের উপর আরও নিম্নমুখী চাপ সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

২০২২ সালে বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর তা ১২ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে তা ৬.৯২ বিলিয়ন ডলারে চলে আসবে বলে আশা করছেন মুখপাত্র।

তিনি বলেন, এই ইতিবাচক অগ্রগতি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ কমাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, “আমাদের বেশিরভাগ ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার রয়েছে। তবে কিছু ব্যাংক ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা এখন যে আমদানি এলসি খুলছেন তার বেশিরভাগই সাইট এলসি।”

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দেশের মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকট শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা করে কমিয়ে ডলারের দাম আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাফেদা ও এবিবি।

গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকা ডলারে দাম এবারই কমানো হলো।

এমন এক সময়ে ডলারের দর কমানো হলো যখন ১২১ থেকে ১২২ টাকা পর্যন্ত দরে রেমিট্যান্স কিনছে ব্যাংকগুলো। আর খোলাবাজারে নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৩ থেকে ১২৪ টাকায়।

তবে ডলারের দাম কমানোর পেছনে কোনো সুস্পষ্ট যুক্তি দেখছেন না বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের কোষাগার কর্মকর্তারা। এটি রেমিটেন্সে আরও প্রভাব ফেলতে পারে।

তথ্যসূত্রঃটিবিএস

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ