ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ফ্রান্স। বুধবার আসাদের সঙ্গে তার ভাই এবং দেশটির সেনাবাহিনীর দুই জেনারেলের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে ফরাসি বিচার বিভাগ। সিরীয় ভুক্তভোগীদের আইনজীবী বার্তাসংস্থা এপিকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
২০১৩ সালে সিরিয়ার দৌমা ও পূর্ব ঘৌটায় সহস্রাধিক মানুষ নিহত ও হাজারো আহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় দুটি রাসায়নিক হামলার অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করে প্যারিসের বিচারিক আদালতের মানবতা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের দায়িত্ব থাকা বিশেষায়িত ইউনিট। সর্বজনীন এখতিয়ার রয়েছে এই আদালতের। হামলায় জীবিতদের পক্ষ থেকে ‘সিরিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়া অ্যান্ড ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন’ নামে একটি সংস্থার দায়ের করা ফৌজদারি অভিযোগের পর ২০২১ সালের মার্চে তদন্ত শুরু হয়।
সিরিয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ অবশ্য শুরু থেকেই ঘৌটায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। কিন্তু জাতিসংঘ ও অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপনসের যৌথ তদন্তে ২০১৭ সালের এক হামলায় বিষাক্ত সারিন গ্যাস ব্যবহার করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, সিরিয়ার সরকার নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্লোরিনও অস্ত্র হিসেবে বারবার ব্যবহার করেছে বলে ওই তদন্তে উঠে আসে।
এর আগে, গত অক্টোবরে ফরাসি বিচারকরা ২০১৭ সালের বোমা হামলার এক ঘটনার দায়ে সিরিয়ার সাবেক দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। সিরিয়ার দারা শহরের এক বাড়িতে ওই হামলায় সিরীয় বংশোদ্ভূত ফরাসি এক নাগরিক নিহত হন।