ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে আগামীকাল আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ১৯ দিনব্যাপী যাত্রাপালা উৎসব। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে।
‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ গড়ার অভিলক্ষ্যে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’ এই প্রতিপাদ্যে ‘গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী শিল্পযজ্ঞ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। লোক ঐতিহ্যের এক সমৃদ্ধ রুপায়ব যাত্রাপালা। ঐতিহ্য, চিন্তা, মূল্যবোধকে ধারণ করেই যাত্রাপালার বিস্তার। আবহমান বাংলার চিরায়ত লোকসংস্কৃতির অন্যতম শাখা যাত্রাপালা বরাবরই গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত। তৃণমূল মানুষের অন্তরে বাস্তবিক উন্নয়নের এক দর্পন স্বরুপ কাজ করে যাত্রাপালা।
উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশব্যাপী ১২০টি যাত্রাদলের পরিবেশনায় ৪২টি জেলায় ‘গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসব ২০২৩’ আয়োজন করেছে।
উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজন আজ সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী দিন ও আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫টি যাত্রাদলের অংশগ্রহণে যাত্রাপালা পরিবেশিত হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে।
উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনে শুরুতেই যাত্রাদল লোকনাট্য গোষ্ঠীর পরিবেশনায় পরিবেশিত হবে যাত্রাপালা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ।’ যাত্রাদল জ্যোতি অপেরা পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘জননীর স্বপ্নপূরণ’ এবং যাত্রাদল বাংলার বাণী অপেরা পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘জাগো মানুষ জাগাও দেশ’।
দেশের ৪২ টি জেলায় বিভিন্ন দলের পরিবেশনায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় চলা এই যাত্রাপালা উৎসব সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।