পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

আইএমএফের ঋণের সমান অর্থ দেবে এআইআইবি

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ওই ঋণ দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা অক্ষুণ্ণ রাখা, দুর্বলকে সুরক্ষিত করা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে বলে তখন উল্লেখ করা হয়।

আইএমএফের পর এবার প্রায় সমপরিমাণ ৪৫০ কোটি ডলার বা সাড়ে বিলিয়ন ডলারের অর্থ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি)। সম্প্রতি মিসরের শারম আল শেখে এআইআইবির পর্ষদ ও অষ্টম বার্ষিক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানায়।

এবারের এআইআইবির বার্ষিক সভায় জলবায়ু অর্থায়ন এবং সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের মধ্যে সেতুবন্ধে জোর দেওয়া হয়। সভায় বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচ বছর মেয়াদে এআইআইবি দেশে ৪৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে পারে। আশা করা হচ্ছে, জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলায় অর্থায়ন এবং সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের মধ্যে সেতুবন্ধ রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই বিনিয়োগ।

এবারের বার্ষিক সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল চ্যালেঞ্জিং বিশ্বে টেকসই উন্নয়ন। শরিফা খান সভায় জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো নির্মাণে আরও বেশি অর্থায়নের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, উন্নত থেকে উন্নয়নশীল সব দেশই এই মুহূর্তে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, যার বেশিরভাগের কারণ হচ্ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ইত্যাদি। বিশেষ করে জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো নির্মাণ এখন অত্যন্ত জরুরি।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং আসন্ন সংকট এড়াতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ন্যায্য অংশীদারির বিষয়ে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মত দেন।

সভায় এআইআইবি সভাপতি ও পর্ষদের চেয়ারম্যান জিন লিকুন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সদস্য দেশগুলো একযোগে কাজ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এআইআইবি সদস্যদের পাশে থাকবে। তার মতে, অবশ্যই গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন দ্রুত কমাতে হবে। সেই সঙ্গে আবহাওয়ার চরমভাবাপন্নতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং পৃথিবীতে জীবন রক্ষা করতে পারে, এমন প্রাকৃতিক পুঁজি রক্ষা করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল গভর্নরস বিজনেস রাউন্ড টেবিল, সেমিনার ও গভর্নরস অফিসিয়াল সেশন বা আনুষ্ঠানিক অধিবেশনে অংশগ্রহণ করে। পাশাপাশি এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) বিনিয়োগ অপারেশন অঞ্চল ১-দক্ষিণ এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট উর্জিত প্যাটেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সভায় অংশ নেয় দেশের প্রতিনিধি দল।

দ্বিপক্ষীয় সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল বর্তমান বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ঋণের শর্ত আরও সহনশীল করায় গুরুত্বারোপ করে। বাংলাদেশে বর্তমানে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য প্রকল্প নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ১৬ কোটি ৫০ লাখ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্পে এআইআইবি প্রথম বিনিয়োগ করে। প্রথম ৩ বছরে ৪টি প্রকল্পের বিপরীতে ৪৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করে সংস্থাটি, যা বর্তমানে ১৮টি প্রকল্পের বিপরীতে ৩২৭ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে।

তথ্যসূত্রঃসময়ের আলো

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ