ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, শেখ হাসিনার স্বপ্ন পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা। আজ বুধবার ভাষানটেক বাগানবাড়ি রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরাফাত বলেন, শেখ হাসিনার চিন্তা এদেশের মানুষের সেবা করার জন্য। কোনো উন্নত দেশেও এই ধরণের জনহিতৈষীমূলক কার্যকলাপ থাকে না। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল নাগরিকদের সম্পৃক্ত করেছেন। এখন শেখ হাসিনার স্বপ্ন আপনাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা। যেন আপনাদের ছেলে-মেয়েরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও প্রযুক্তি মোকাবিলা দক্ষতার সাথে করতে পারে সে লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা ১৭ আসনের আওতাধীন ভাষানটেক থানার জনগণ উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারছে না। ধাপে ধাপে এই এলাকার সকল রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পানির সমস্যাসহ ভাষানটেক এলাকায় বসবাসকারী সকল জনগণের নাগরিক সুবিধাসমূহ নিশ্চিত করা হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের ফলে ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দরে মাত্র ১০ মিনিটেই পৌঁছানো যাচ্ছে। মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে চলা ফেরা করতে পারছে। সুতরাং মানুষের কর্ম যদি কথা বলে তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। তিনি ঢাকা শহর থেকে শুরু করে সারা বাংলাদেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছেন তার ফল এদেশের জনগণ দিবেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামাতের আমলে লুটপাট, হত্যা, রাহাজানি ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার, এগুলো ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে তাদের অপারেশন ক্লিনহার্ট করতে হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার আমলে চুরি, লুটপাট, রাহাজানি নাই যার কারণে অপারেশন ক্লিনহার্টের প্রয়োজন হয় না। মানুষের যদি সদিচ্ছা থাকে, দেশের প্রতি ভালবাসা মমত্ববোধ থাকে, দেশের মানুষের প্রতি যদি দায়বদ্ধতা থাকে তাহলে সব অসাধ্য সাধন করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের জন্য ১/১১ এর কুশীলবরা সোচ্চার। যারা সুদখোর, যারা ট্যাক্স ফাঁকি দেয়, যারা গরীবের টাকা আত্মসাৎ করে এবং তাদের বিচার করতে গেলে ঐ বিদেশী প্রভুরা চিঠি দেয়। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ন্যক্কারজনক হস্তক্ষেপ করা এটা কোন সভ্যতা? যারা সভ্যতার ছবক দেয় তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কিভাবে ন্যক্কারজনকভাবে হস্তক্ষেপ করে। আমাদের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন, বিচারালয়ের যে রায় সেই রায়ের বিরুদ্ধে তারা কিভাবে হস্তক্ষেপ করে? সুতরাং আমি ঐ সকল সভ্য সমাজের প্রবর্তক এবং বিবেকবান মানুষদের বলবো শিষ্টাচার রক্ষা করেন। সব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করবেন না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ৯৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন খান, ১৫নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শাহিদা আক্তার শিলা, ১৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহির উদ্দিন, ভাষানটেক থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান নিলয় ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুকসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটসমূহের নেতৃবৃন্দ।