ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
বহুল প্রতীক্ষিত ৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ খুলনা-মোংলা বন্দর রেল সংযোগ অবশেষে সেপ্টেম্বরের শেষে বা আগামী মাসের শুরুতে চালু হতে যাচ্ছে। প্রকল্পটি শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে না, বরং এটি নয়াদিল্লি ও ঢাকা এবং স্থলবেষ্টিত নেপাল ও ভুটান (বিবিআইএন)সহ অন্যান্য প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ন্যারেটিভের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসের শেষ নাগাদ এই রুটে প্রথম ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে। পরবর্তী পর্যায়ে রেল সংযোগটি একটি আন্তর্জাতিক রুট হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। রেল বন্দরটি ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত মোংলা বন্দরের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ অঞ্চলের যোগাযোগের ঘাটতি ছিল।
ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ রেখার (লাইন অফ ক্রেডিট) আওতায় বাস্তবায়িত এই প্রকল্পটি কলকাতা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে ভারী কার্গোসহ পণ্যগুলোর লজিস্টিক বাধা এবং ব্যয় বা ট্রান্সশিপমেন্টকে উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করবে।
গবেষকরা বলছেন, রেললাইনটি সমগ্র বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল) উপ-অঞ্চলের জন্য খুব উপকারি হবে। কারণ এটি উন্মুক্ত যোগাযোগ ও পণ্য সরবরাহে সাহায্য করবে। অবশেষে আমরা দেখছি এই অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে, এটি অবশ্যই একটি অর্জন।
এছাড়া, মোংলা বন্দরে রেল সংযোগ চালু হলে কার্গোর একটি বড় অংশ পরিচালিত হতে পারে। অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত দেশের সামুদ্রিক বাণিজ্যের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ চট্টগ্রাম বন্দরের দখলে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, খুলনা শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত মোংলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অঞ্চল এবং বন্দরকে সংযুক্ত করে একটি রেল নেটওয়ার্ক। যেটি এই অঞ্চলের ক্ষুদ্র ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তা করবে।
এ বিষয়ে আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, মোংলা বন্দর থেকে বড় কনটেইনার পরিবহন করা প্রায় দুঃস্বপ্নের মতো। বন্দরটি প্রসূর নদী নদীর ওপর নির্মিত হলেও এটি উপসাগর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।