পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪

হাসিনা-মোদি বৈঠকে উঠবে তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গ

ছয়দফা নিউজ ডেস্ক:
আগামী ৮-১০ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে বিশ্বের শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির জোট জি ২০ এর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সম্মেলনের সাইড লাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তির বিষয় আলোচনায় তুলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন রোববার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সব সময়ই সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছে। আমরা এটাকে সবসময় আলোচনার এজেন্ডায় রাখতাম। এবারও আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলবেন। বাংলাদেশ মনে করে দুই দেশের পানি বণ্টন সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে, কারণ দুই দেশ পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে কাজ করতে মানসিকভাবে একমত। আমাদের আরও কিছু সমস্যা আছে। আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। গঙ্গার পানি চুক্তি আরেকটি বিষয়, যা শিগগিরই শেষ হয়ে যাবে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ জ্বালানী খাতে সহযোগিতা, জনযোগাযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বন্টন, নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত সুরক্ষা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধসহ আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক একাধিক ইস্যূতে আলোচনা হবে। বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রী আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত ১০.০১ কিলোমিটার রেল লাইন উদ্বোধন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।

এর আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গত ৩১ আগস্ট সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ‘সুবর্ণ অধ্যায়ে’ আরও একটি পালক যুক্ত করবে। ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, জি ২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোয় ভারতকে ধন্যবাদ। বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না, শান্তি চায়, আসন্ন সম্মেলনে এই বার্তা দেওয়া হবে। চলমান বৈশ্বিক সংকটের বহুমাত্রিক সমাধানে জি-২০ অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করতে উন্মুখ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, উন্নয়নের অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত কণ্ঠস্বর। তিনি প্রায় ১৭০ মিলিয়ন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি গণতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে কথা বলেন। জি-২০ প্রেসিডেন্সির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, গ্লোবাল সাউথের সমস্যা নিয়ে আসা। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি মুখপাত্র। বাংলাদেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্লোবাল সাউথের জন্য কণ্ঠস্বর হিসেবে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।

তথ্যসূত্রঃসময়ের আলো

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ