ছয় দফা নিউজ ডেস্ক:
জমে উঠেছে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াই। টানা তিন ম্যাচ হেরে এই লড়াইয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে নিউজিল্যান্ড। সেমির রেস এখন অনেকটাই উন্মুক্ত। এই রেসে যোগ দিয়েছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এমনকি নেদারল্যান্ডসও। আর তাই শুক্রবার লখনৌয়ে আফগানিস্তান-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচটিতে এখন সেমির ঝাঁজ। তাপ ছড়ানো এই ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে।
চলতি বিশ্বকাপে বিস্ময়ের পর বিস্ময় সৃষ্টি করে চলেছে আফগান ও ডাচরা। চলতি আসরে এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ৬ খেলায় তারা সংগ্রহ করেছে ৬ পয়েন্ট। রান রেটে পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলে ষষ্ঠ স্থানে আছে তারা। তবে পাকিস্তানের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে তারা। আর তাই আজ ডাচদের বিপক্ষে জিতলে প্রতিবেশী পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে পঞ্চম স্থানে উঠে আসবে আফগানরা। এরপর তাদের হাতে থাকবে দুটো ম্যাচ। অর্থাৎ সেমিতে ওঠার পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে আফগানিস্তান।
এদিকে কম যাচ্ছে না নেদারল্যান্ডসও। দক্ষিণ আফ্রিকার পর তারা হারিয়েছে বাংলাদেশকে। এই বিশ্বকাপে যে তারা শুধু একটি সংখ্যা নয় সেটা এরই মধ্যে প্রমাণ করেছে। আজকের ম্যাচে আফগানদের হারাতে পারলে সেমির রেসে টিকে থাকবে ডাচরাও। সে ক্ষেত্রে ৭ ম্যাচে তাদের সংগ্রহও দাঁড়াবে ৬ পয়েন্ট। হাতে থাকবে আরও দুটি ম্যাচ। আর তাই স্কট অ্যাডওয়ার্ডসের দল যে নিজেদের লক্ষ্য পূরণে মরিয়া থাকবে তা বলাই বাহুল্য।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দলকে টোটাল ক্রিকেটের বার্তা দিয়ে আসছেন ডাচ অধিনায়ক অ্যাডওয়ার্ডস। সেটার ছাপ দেখা গেছে বেশ কয়েকটি ম্যাচেই। প্রথম দিকে উইকেট হারালেও দলটি নুইয়ে পড়েনি। শেষ দিকের ব্যাটাররা লড়াই করেছেন। দলের সবাই জয়ে অবদান রাখছেন। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টোটাল ক্রিকেট খেলতে হলে বড় পরীক্ষাই দিতে হতে পারে। কেননা রশিদ খান, মুজিব উর রহমান এবং মোহাম্মদ নবির স্পিন আক্রমণ ডাচ শিবির কতটা সামলাতে পারেন সেটাই দেখার বিষয় হবে। তা ছাড়া নেদারল্যান্ডসের জন্য মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে তাদের টপঅর্ডার। তাদের শীর্ষ পাঁচ ব্যাটার এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম রান করেছে। শীর্ষ পাঁচজনের মিলিত রান ৫৮২, ব্যাটিং গড় ১৯.৪০। গতকাল ম্যাচপূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এটাই বলেছেন ডাচ অলাউন্ডার কলিন অ্যাকারম্যান, ‘ব্যাটিংয়ে আমরা যেমনটি দেখতে চেয়েছিলাম, এখনও তেমনটা করতে পারিনি। টপঅর্ডাররা বেশিরভাগ ম্যাচে ভিত্তি গড়ে দিতে পারেননি। হ্যাঁ, আমাদের টেলএন্ডাররা রান করছেন, সেটা ভালো দিক। তবে টপঅর্ডারকে রানে ফিরতে হবে। আশা করি আগামীকালকের (আজ) ম্যাচে সেটা হবে।
আফগানিস্তানের সামনে এখন সেমিফাইনাল খেলার হাতছানি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অনেক সুখস্মৃতি আছে আফগানদের। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে ৯ বারের দেখায় ৭ বারই জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। বাকি দুবার জিতেছে ডাচরা।