পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

মালিক-মিরাজ ঝড়ে থামলো বিজয়দের জয়রথ 

ছয় দফা নিউজ ডেস্ক: ছয় বলে প্রয়োজন ১৮। প্রথম বলেই মিড উইকেটে বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন মেহেদি হাসান মিরাজ। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দেন শোয়েব মালিককে। ‘বিতর্কিত’ প্রত্যাবর্তনের পর মালিক বাকি কাজটা সেরে দেন। একটি করে চার-ছয়ে ম্যাচের সমতা আনেন। ২ বল হাতে রেখে যখন ১ প্রয়োজন দাসুন শানাকা ওয়াইড দিয়ে বসেন। অপর প্রান্ত থেকে উল্লাসে মেতে ওঠেন মিরাজ।

উল্লাস করবেনই না কেন, টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা দল খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় পায় ফরচুন বরিশাল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বরিশাল। শেষ দিকে দুই পাকিস্তানির ঝড়ে ১৫৫ রান করে খুলনা। তাড়া করতে নেমে ১৯.৪ ওভার লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল। ৫ উইকেটের জয়ে এনামুল হক বিজয়দের জয়রথ থামালো তামিম ইকবালের দল।

৫ উইকেটের জয়ে এনামুল হক বিজয়দের জয়রথ থামালো তামিম ইকবালের দল। পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম হারের মুখ দেখলো খুলনা। অন্যদিকে ষষ্ঠ ম্যাচে বরিশালের এটি তৃতীয় জয়।

মালিক-মিরাজ জুটি থেকে আসে মাত্র ২৩ বলে ৫৫ রান। মালিক ২৫ বলে ৪১ ও মিরাজ ১৫ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। দুজনেই সমান ৩টি করে ছয় ও ১টি করে চার হাঁকান। অথচ মালিকের সঙ্গে জুটির কথাই ছিল না। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম-মাহমদুউল্লাহ রিয়াদ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যর্থ হওয়ায় এই অবস্থা হয়।

মালিককে সঙ্গে নিয়ে যখন এগোচ্ছিলেন মুশফিক তখন বল-রানের পার্থক্য ছিল হাতের নাগালে। নাসুম আহমেদকে স্লগ সুইপে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাউনে ধরা পড়েন মুশফিক। তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ২৭ রান। মুশফিকের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহও হাল ধরতে পারেননি। ৯ বলে ৪ করেন তিনি। এরপর শুরু হয় মালিক-মিরাজের জুটি।

তামিম ইকবালের চারে রান তাড়ায় ভালো কিছুর সুবাস দিয়েছিল বরিশাল। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে আহমদ শেহজাদকে হারিয়ে শুরুতেই বিপাকে পড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ক্রিজে তামিমের সঙ্গী হন সৌম্য সরকার। জীবন পেয়ে সৌম্য লম্বা ইনিংসের আভাস দেন। কিন্তু তামিম ফেরেন থিতু হয়ে, ১৮ বলে ২০ রান করে। সৌম্যও পারেননি দলের হাল ধরতে। ১৩ রানে জীবন পেয়ে ১৩ রান যোগ করে ফেরেন সাজঘরে।

খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ। ১টি করে উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ। খুলনা বোলার ব্যবহারে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারেনি। শেষ ওভারে শানাকা ১৮ রানও ডিফেন্স করতে পারেননি। ৪ বলেই রান দিয়ে দেন।

এর আগে দুই পাকিস্তানি রিক্রুট ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের লড়াকু লক্ষ্য দেয় খুলনা।ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালো শুরু করেছিল খুলনা। তবে দলটির অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ১৩ বলে ১২ রান করে আউট হতেই শুরু হয় ব্যাটিং ধ্বস। বিজয়ের আউটের পর রান আউট হয়ে কাটা পড়েন হাবিবুর রহমান সোহান। এরপর একপ্রান্ত আগলে রাখা ইমন আউট ২৪ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে।

পরের বলে বিদায় নেন আফিফ হোসেনও। এদিকে মাহমুদুল হাসান জয়কে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাইজুল ইসলাম। উইকেট থেকে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে আউট হন ১৩ রান করা জয়। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে দাসুন শানাকাকে ফেরান তাইজুল। এরপর নাহিদুল ইসলামও বিদায় নিলে ৮৮ রানে ৭ উইকেট হারায় খুলনা।

সেখান থেকেই শুরু হয় ফাহিম-নাওয়াজ ঝড়। মাঠের চারদিকে চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন দুই পাকিস্তানি। একশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দূরে করে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান এই দুজন। তাতে ২০ ওভারে শেষ খুলনার লক্ষ্যমাত্রা দেড়শ ছাড়িয়ে যায়। নাওয়াজ ২৩ বলে ৪ ছক্কায় খেলেন ৩৮ রানের ইনিংস। ফাহিম ১৩ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩২ রান।

তথ্যসূত্রঃরাইজিংবিডি

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ