পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটের মাঠে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগ নৌকার প্রার্থীর!

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি)

নিজস্ব প্রতিবেদক, (ফুলছড়ি) গাইবান্ধা:
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলীর বিরুদ্ধে কালো টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তুলেছেন আ.লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন। এ নিয়ে তিনি শনিবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে এসব অপকর্মে সহায়তার জন্য তারই আপন চাচাতো ভাই, ফুলছড়ি-সাঘাটার স্থানীয় আ.লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তাদের পরিবারের নারীরা জড়িত বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শুধু তাই নয়, বুবলীর স্বামী ব্যারিষ্টার খুরশিদ আলম নির্বাচনি আচরণবিধির কোনো তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা অপতৎপরতা চালানোসহ কোনো ভোটার তাদের এমন বেআইনি প্রস্তাবে রাজি না হলে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

নৌকার প্রার্থী মাহামুদ হাসান রিপন তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, আসনটির ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলী ও তার স্বামী বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার নির্বাচনি আচরণবিধিমালার কোনো তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করছেন। একই সঙ্গে তিনি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা রকম অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলী কিছু নারী সমর্থকের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে কালো টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সুকৌশলে নারী ভোটারদের টাকার বিনিময়ে ট্রাক মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য বেআইনি প্রলোভন দেখাচ্ছে এবং টাকার বিনিয়ে ভোট কিনছে। নির্বাচনি এলাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক প্রতিষ্ঠানে টাকা ছড়াচ্ছে। ট্রাকে ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে শর্ত সাপেক্ষে অনুদান দিচ্ছে।

এছাড়া কোনো কোনো ভোটার তাদের বেআইনি প্রস্তাবে রাজি না হলে ফারজানা রাব্বী বুবলীর স্বামী বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে।

অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, সংঘবদ্ধ এই অপরাধী চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছে ফারজানা রাব্বী বুবলীর আপন চাচাতো ভাই ফাহাদ রাব্বী ও তার স্ত্রী ফেরদৌস আরা জান্নাত, ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পারভেজ ও তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার, জিএম সেলিম পারভেজ উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও ফুলছড়ি উপজোলা আ.লীগের সভাপতি।

এছাড়া সাঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির ও তার ১ম স্ত্রী রিবি আক্তার ও ২য় স্ত্রী সাদিয়া বিশ্বাস। এছাড়া কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা শালু ও তার ২য় স্ত্রী মোছা. জেমি আক্তার, বোনারপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. নাসিরুল আলম স্বপন ও তার স্ত্রী মোছা. আলো বেগম। নাসিরুল আলম স্বপন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একই সাথে সাঘাটা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক। ভরতখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী মোছলেমা আক্তার তিশি, মুক্তিনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ও তার স্ত্রী মোছা. হেলেনা বেগমসহ আরো অনেকেই এই অপকর্ম চালাচ্ছেন।

এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রভাব হুমকি ও কালো টাকা ছড়ানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।

তবে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলীর মোবাইল ফোনে কল করা হলে ফোন রিসিভ করেন সাথী নামের একজন। তিনি জানান, ফারজানা রাব্বী বুবলী ব্যস্ত আছেন। বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলবেন।

এদিকে, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী নাহিদ রসুল বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আসনটিতে নির্বাচনে আ.লীগের মাহমুদ হাসান রিপন ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলীসহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয়জন প্রার্থী। তারমধ্যে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাপা মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমান।

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ