পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে...
শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

পাকা রাস্তা মাটির নিচে, দশ গ্রামের মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, (গোবিন্দগঞ্জ) গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ বাজার এলাকার চলাচলের প্রধান রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পাকা এই রাস্তা মাটির আস্তরণে ঢাকা পড়ায় এবং আশপাশের বাড়িঘরের তুলনায় রাস্তাটি নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের। পাকা রাস্তার ওপর এক থেকে দেড় ফুট মাটি ও কাদার আস্তরণের কারণে দু’টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রামের মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে পড়তে হচ্ছে নানামুখী বিড়ম্বনায়। দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন ওই এলাকার লোকজন।

উপজেলা সদর থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরে সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামটি ঐতিহাসিক ও বাণিজ্যিকসহ বিভিন্ন কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করতোয়া নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই গ্রামে রয়েছে একটি বাজার, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, পাঠাগার ছাড়াও রয়েছে সাহেবগঞ্জ খেয়াঘাট। যার মাধ্যমে পারাপার হন দরবস্ত ও সাপমারা ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ। কিন্ত সাহেবগঞ্জ খেয়াঘাট থেকে সাহেবগঞ্জ বাজার পর্যন্ত পাকা সড়কটির দু’পাশের বাড়িঘর প্রতিনিয়ত উঁচু করে নির্মাণ করায় রাস্তাটি ধীরে ধীরে তুলনামূলকভাবে নিচু হয়ে যায়। এর ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই পাকা সড়কটি পানি ও কাদা মাটিতে ঢাকা পড়ে যায়। এমনকি অনেক বাড়ির ব্যবহৃত পানি রাস্তায় ছেড়ে দেয়ায় এবং সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ হয়ে থাকে দীর্ঘদিন। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা ছাড়াই এই পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হলেও কোন উপকারে আসেনি এলাকাবাসীর। এই পথে চলতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই নানা বিড়ম্বনায় পড়ছেন নারী, বৃদ্ধ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীরা। কাদার কারণে কোন যানবাহন চলাচল করতে না পারায় জরুরী প্রয়োজনে মালামাল পরিবহণ ও রোগী পরিবহণে বেশ বেগ পেতে হয় স্থানীয়দের। রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করতে পরিকল্পিতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই দুরাবস্থার মুক্তিচান ভুক্তভোগীরা।

গোশাইপুর গ্রামের আব্দুস সালাম বলেন, এই রাস্তার দ্ইু পাশে বাড়ী ঘর উঁচু করে নির্মাণ করায় সড়কটি আগের তুলনায় অনেক নীচু হয়েছে। যে কারণে আশপাশের বাড়ী ঘরের পানি, বর্জ্য ও মাটি এসে কাদায় ঢেকে গেছে পাকা সড়ক। এখন হাঁটতে গেলে বা কোন যানবাহনে গেলেই বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এই অবস্থা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ চাই।

সাহেবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পার্থ কুমার মোহন্ত বলেন, বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় মাঝে মধ্যেই পিছলে পড়ে জামা-কাপড় বই-খাতা নষ্ট হচ্ছে।

উপজেলার সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ মোতাবেক স্থানীয় চাহিদা মোতাবেক ড্রেন নির্মাণ করছি। তবে অর্থ সংকটে তা পুরোপুরি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, বিষয়টি জানা আছে। পানি নিস্কাশনসহ জায়গাটি সংস্কারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।

আরো পড়ুন

মতামত দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সর্বশেষ সংবাদসমূহ

বিশেষ সংবাদ